লিয়াকত হোসেন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্কারদিয়া ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের মামা শফিউদ্দিন এর বাড়িতে দেড়যুগ ধরে শিকলে বাঁধা অবস্থায় জীবন কাটালেও আজও সাহায্যের হাত বাড়ায়নি কেউ এমনকি আজও সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত রয়েছে। ঝর্নার বিয়ে হয় কিন্তু স্বামীর বাড়িতে বেশিদিন ঘর সংসার করতে পারেনি।ঝর্না মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে মামা শফিউদ্দিন শেখের বাড়িতে শিকল বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন। ঝর্না বেগমের মা ফেলি খাতুন সেও মানসিক রোগী (পাগল)। মা ও মেয়ে ছোট্ট একটি ছাড়া ঘরে অন্ধকারেই একসাথে জীবন কাটাচ্ছেন। ফেলি খাতুন দিনের বেলায় বাড়ি থেকে বের হয় কোন দিন বাড়িতে আসে আবার মাঝে মধ্যে রাতে বাড়িতে ফিরছেনা।যদিও বাড়িতে ফিরে একই ঘরের মেঝেতে মা ও মেয়ে একসাথে থাকেন।বাড়িতে তাদের দেখাশুনা করেন আজম শেখের স্ত্রী আকলিমা বেগম। আকলিমা বেগম বলেন আজ ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারনে ঝর্না বেগম শিকল দিয়ে আটকিয়ে রেখে তার দেখাশোনা করছি ঝর্নার মা ফেলি খাতুন সেও পাগল কোথায় যায় কি করে তা জানিনা সকালে বের হয়ে যায় আর রাতে বাড়িতে ফিরে।সরকারি বা বেসরকারি ভাবে এপর্যন্ত কোন সাহায্য আমরা পাইনি।ঝর্না বেগম আজও কোন সরকারি অনুধান পাইনি তবে ফেলি খাতুনের একটি বিধবা ভাতার কার্ড ছিলো তা মাঝে তার নাম কেটে দেয়।বর্মানে এক সংবাদকর্মীর সহায়তা ফেলি খাতুন কার্ড ফিরে পায়।এছাড়া একটি শিশুকার্ডের জন্য কোত জায়গায় ঘোরাঘুরি করছি চেয়ারম্যান বলছে সামনে পাবা কিন্তু আজও মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকায় নাম লেখাতে পারিনাই।
এবিষয় লস্করদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদার বলেন তাড়াতাড়ি তার নামের তালিকা দেওয়া হবে।তবে তার বাড়িতে দুই জন পাগল আছে এবিষয়ে আমাকে কেউ বলেনাই আমি নিজে গিয়ে তাদের বিষয় খোঁজ খবর নিব।