রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৮ অপরাহ্ন

রাজারহাটে ডাংরারহাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে গোপনে নিয়োগ পরিক্ষা সম্পন্ন

ইব্রাহিম আলম সবুজ রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৩৭৪ জন দেখেছেন

ইব্রাহিম আলম সবুজ রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

 

গত বৃহস্পতিবার ১২ই রবিউল আউয়াল ২৮ই সেপ্টেম্বর/২৩ সরকারী ছুটির দিনে ডাংরারহাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন টি পদে নিয়োগ পরিক্ষা সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীর বিরুদ্ধে। অথচ পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে আবেদন করেন মানাবাড়ী কালির হাটের মৃত আলাল মিয়ার পুত্র মোঃ হাফিজুর রহমান। হাফিজুর রহমান এই নিয়োগ পরিক্ষা সম্পর্কে কিছুই জানেনা বলে জানান সাংবাদিক কে।

স্থানীয় সুত্র ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তিনটি পদের পরিক্ষা স্কুলে নেওয়া হচ্ছে। একজন ল্যাব এসিস্ট্যান্ট,একজন পিওন ও একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে এলাকাবাসী কেউ কিছু জানে না। পরিক্ষায় প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীর বড় ভাইয়ের ছেলে নাঈম কে ল্যাব এসিস্ট্যান্ট,সেকেন্দার আলীর ছোট ভাইয়ের জামাতাকে পরিচ্ছন্ন কর্মী এবং তার আরেক নিকট আত্মীয় শরিফুল ইসলামের ছেলে ফারুক মিয়াকে পিওন হিসেবে প্রার্থী চুড়ান্ত করে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এই নিয়োগের বিষয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সেকেন্দার আলীর পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত অথচ কিভাবে এই নিয়োগ চুড়ান্ত করলেন। তাও আবার তারই পরিবারের সব প্রার্থী। তার এই খুটির জোর কোথায়। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বিএনপি ঘেষা রাজনীতির সাথে জড়িত একজন ব্যক্তি কিভাবে এই নিয়ম বহির্ভূত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করলেন এনিয়ে এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের একজন প্রভাবশালী নেতার যোগ সাজোশে প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকার এই নিয়োগ বাণিজ্য করেন। কবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলো এব্যাপারে এলাকাবাসী কিচ্ছু জানে না। ওই এলাকার একাধিক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা এই বিধি বহির্ভূত নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কেউ ভয়ে মুখ খুলেনি।

তবে বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বসুনিয়া বলেন রাজারহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের একজন প্রভাবশালী নেতার সাথে সেকেন্দার আলীর পরিবারের সাথে দহরম মহরম সম্পর্ক আছে। যদিও সেকেন্দার আলীর পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত,তারপরও সভাপতির রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের দুর্বল করতে এবং স্থানীয় নির্বাচনে নিজের পক্ষে সমর্থন নিতে তার এই সম্পর্ক সর্বসাধারনের মাঝে চাউর আছে। প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীর সাথে কুপরামর্শ করে ওই নেতা একাধিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি থাকায় তার স্ত্রীকে এই স্কুলের সভাপতি বানিয়ে এই নিয়োগ বাণিজ্য সম্পন্ন করেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এহেন রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের বিচার চাই।

ডাংরারহাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সেকেন্দার আলীর ০১৭৩৩৬৮৯৭৭২ নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এলাকাবাসী কেউ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে জানেনই না অথচ প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীর পরিবারের সদস্যরা কিভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হলেন এই বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন- মেধায় ভালো করলে নিয়োগে কোনো বাধা নেই। নিয়োগপ্রাপ্তরা প্রধান শিক্ষকের আত্নীয় কিনা সেটা আমার অজানা । একজন আবেদনকারীকে ইন্টারভিউ কার্ড দেওয়া হয়নি সে বিষয়ে কিছু জানেননা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।

বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগের বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী রায়ের কাছে জানতে চাইলে এবিষয়ে তিনি কিছু জানেননা বলে প্রতিবেদককে জানান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com