লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে সারা বাংলাদেশের ন্যায় পরীক্ষা চলছে। গত ২১/০৪/২৩ ইং তারিখ রোজ রবিবার ১১.০০ টার সময় পরীক্ষা কেন্দ্র কোড নাম্বার ১৫১১৫ এস এস সি ভোকেশনাল পরীক্ষায় ২০২৩ সালের ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও পরীক্ষার বিধি বিধান লঙ্ঘন করে সরকার কে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে একক ক্ষমতা বলে উক্ত প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ আল হাসান এসব কর্মকান্ড প্রায় ২ বছর ধরে করে আসছেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উক্ত প্রতিষ্ঠানে ২৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন ১৪৪ ধারার ভিতরে দায়িত্ব ছাড়াই সকলে প্রতিষ্ঠানের ভিতরে অবস্থান করেন এবং এস এস সি ভোকেশনাল বোর্ড সমাপনী পরীক্ষার নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ম বহির্ভূত ভাবে আফজাল উদ্দিন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মোছাঃ সেলিনা খাতুন একজন নিয়মিত ডিউটি করে আসছেন এবং কালীগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নিজ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের বোর্ড পরীক্ষার কক্ষে ডিউটি করে আসছেন সেটি পরীক্ষা পরিচালনা নিয়ম বহির্ভূত। এমনকি পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতা করে আসছেন এটি আইনত অপরাধ । এমনকি এই প্রতিষ্ঠানে কোন আবাসিক ব্যাবস্থা না থাকলেও অধ্যক্ষের একক ক্ষমতা বলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী দিন রাত্রী২৪ ঘন্টাই আবাসিক অবস্থান করেন। শিক্ষা নীতি মালায় দেখা যায় কমপক্ষে ১৮ জন পরীক্ষার্থীর বিপরীতে ১ জন ও ১৮ এর অধিক হলে ০২ জন শিক্ষক ডিউটি করবেন। আরও প্রকাশ থাকে যে প্রতিকক্ষে ২ জনের নিচে ডিউটি চলবে না। এখানে ও বিধি মালা লঙ্ঘন করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। স্থানীয় ভাবে জানা যায় সরকারি বিধি বিধান লঙ্ঘন করে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৭ম- নবম শ্রেণির প্রত্যেক বছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা ও উত্তোলন করে আসছেন যেটি নিয়ম বহির্ভূত। উক্ত প্রতিষ্ঠান গিয়ে দেখা যায় তিনজন ব্যক্তির তৈরি করা ও স্বাক্ষরিত ভুয়া বিল ভাউচারের হাজার হাজার টাকা অবৈধ উক্ত প্রতিষ্ঠান এর অধ্যক্ষ ধারাবাহিক ভাবে আত্মসাৎ করে আসছেন।
উক্ত বিষয় গুলি কালীগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজর অধ্যক্ষর কাছে জানতে চাইলে বিষয় গুলি তিনি এলোমেলো ভবে উপস্থাপন করেন।
এই বিষয় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর উপ-পরিচালক খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসান মহোদয় এর সাথে কথা বলে জানা যায় এগুলো অপরাধ যোগ্য কি না তা বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।