বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন

বহুবিবাহে উস্তাদ চুনারুঘাটের জামাল অসহায় মেয়েদের ফুসলিয়ে একাধিক বিয়ে

লুৎফর রহমান রানা মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৫৮ জন দেখেছেন

লুৎফর রহমান (রানা) মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ

আজ ৪ এপ্রিল অসহায় মহিলা লিমা আক্তার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন তাহার
সহিত বিয়ে হয় চুনারুঘাট উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের গত ২৫/০৯/২০১৬ সালে কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুস শহীদ উর্ফে ছাবু মিয়ার ছেলে জামাল হোসেনের সহিত বিয়ে হয় শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের ষাড়েরগজ ৮নং ওয়ার্ডে বসবাসরত আছাদ উল্লাহর মেয়ে লিমা আক্তারের সহিত পারিবারিক ভাবেই বিবাহ হয়,বিয়ের পর স্বামীকে নিয়ে কিছুদিন চুনারুঘাট উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে, বিয়ের সময় লিমা আক্তারের পিতার নিকট থেকে জামাল হোসেন দুই লক্ষ টাকার মালামাল বুঝিয়া নেয়,বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শশুর শাশুড়ী কতৃক নির্যাতনের শিকার হয় লিমা আক্তার। জামাল হোসেন ব্যবসা করবে বলে পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে,এই যৌতুকের টাকার জন্য লিমা আক্তার তাহার পিতা কে ফোন করে জানালে এত টাকা নিম্নবিত্ত লিমা আক্তারের পিতা দিতে অপারগতা জানালে সে এ কথা জামাল হোসেন কে জানায়। তারপর থেকেই শুরু হয় পারিবারিক মানুষিক নির্যাতন। এর মধ্যে লিমা আক্তারের খুল আলোকিত করে আসে এক ছেলে বাচ্চা, কিছুদিন পর তাহার স্বামী নারায়ণগঞ্জ আদমজী ইপিজেড এ চাকুরীর সুবাদে সে নারায়ণগঞ্জ গার্মেন্টস চাকরিরত মহিলা কর্মীর সাতে পরোক্রিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এবং সেই গার্মেন্টস কর্মী মহিলা কে ১ম স্ত্রী লিমা আক্তারের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করে।
এবং সে এর মধ্যে মাঝে মধ্যে বাড়ীতে যাতায়াত করার সুবাদে তাহার স্ত্রী চুনারুঘাট উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামেই জামাল হোসেনের বাবা মার কাছে থাকতো, ,সে যৌতুক দিতে অপারগতা জানালে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে, এবং ঐ দিন লিমা আক্তার কে উদ্ধার করে বাবার বাড়ীতে নিয়ে আসে লিমা আক্তারের পিতা,
স্থানীয় ভাবে কয়েক বার শালিসি হলেও জামাল হোসেন শালিস মানতে নারাজ। এরই মধ্যে হটাৎ একদিন ডাকযোগে তালাকনামা পাটায় লিমা আক্তারের নিকট। ছোট বাচ্চা ছেলেকে নিয়ে অসহায় হয়ে লিমা আক্তার মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আমল আদালত মৌলভীবাজার কোর্টে মামলা নং সি আর (৬৫) সে যৌতুক মামলা করে জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে। এই মামলা দীর্ঘদিন হলেও এখনো সে সটিক বিচারের রায় না পাওয়ায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরে।এবং লিমা আক্তারের বাবা নিম্নবিত্ত পরিবারের খেটে খাওয়া মানুষ দিন আনে দিন খায়,এই সুযোগে স্বামী জামাল হোসেন লিমা আক্তারের বাবা ভাই মা ছোট বোন সহ মোট পাঁচজন কে আসামী করে নারায়ণগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ভূয়া কায়োন্টার মামলা করে, সিলেট থেকে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ কোর্টে আসা যাওয়ার খরচ মামলা চালাতে হিমশিম খাচ্ছে দরিদ্র অসহায় মেয়ে লিমা আক্তারের পিতা। সে এখন এই প্রতারকের বিচার দাবি করছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট, নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং যৌতুক বিরোধী আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি এই অসহায় দরিদ্র পরিবারটির।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com