বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১০:১৩ অপরাহ্ন

নন্দীগ্রামে পুকুর খননের নামে গভীর গর্ত করে মাটি বিক্রি, আবাদি জমি ভরাট।

হাফছা খাতুন, স্টাফ রিপোর্টার 
  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ৬৪ জন দেখেছেন

হাফছা খাতুন, স্টাফ রিপোর্টারঃ-

নন্দীগ্রাম পল্লিতে রোপা আমন ধান কাটা শেষে না হতেই ফের স্কেভেটর সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম শুরু হয়েছে। গত বছরের ন্যায় আবাদি জমিতে পুকুরখননের পাশাপাশি এবার পুকুর সংস্কারের নামে গভীর গর্ত করে অবৈধ ভাবে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। সেইসব মাটি দিয়ে আবাদি জমি ভরাট করা হয়। ফলে ফসলি জমি কমছে। সরকারের নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনার পরও আবাদি জমিতে পুকুরখনন ও ভরাট বন্ধে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি।

মৎস্য চিকিৎসকরা বলছেন, পুকুরে গভীর গর্ত করায় মাছ চাষেও গুনতে হবে লোকসান। অন্যদিকে পুকুর খননের মাটি ভর্তি ট্রাক্টর চলাচল করায় সড়ক ও রাস্তাগুলো বেহাল দশায় পরিনত হচ্ছে।

 

বগুড়ার নন্দিগ্রাম উপজেলার ১ নং বুড়ইল ইউনিয়নের ধুন্দার এলাকার তুলাশন রাস্তার পাশে প্রায় তিন বিঘার একটি পুকুর সংস্কারের নামে অপরিকল্পিতভাবে গভীর গর্ত করে মাটি বিক্রি করতে দেখা গেছে।সেসব মাটি ট্রাক্টর দিয়ে নেওয়া হচ্ছে আশপাশের বেশকয়েকটি আবাদি জমিতে।

জানা যায়, ধুন্দার পূর্বপাড়ার আব্দুস সামাদ ও তার ছেলে মোজাফ্ফর হোসেন স্কেভেটর ঠিকাদার সিংড়া উপজেলার নাহিদ হোসেনকে মাটি চুক্তিতে পুকুরটি সংস্কার খননের কাজ দিয়েছেন। পুকুরটি পূর্বে ৬-৭ ফিট গর্ত ছিল। সেখানে খনন করে আরো প্রায় ১২ ফিট গর্ত করে গত দুইদিন ধরে প্রত্যেক ট্রাক্টর মাটি ৫শ’ টাকা থেকে ৬শ’ টাকা দরে আবাদি জমি ভরাটের জন্য বিক্রি করছে। পুকুর খননের মাটি ভর্তি ট্রাক্টরগুলো বিভিন্ন সড়ক ও রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। ফলে কোটি টাকায় নির্মাণকৃত রাস্তায় মাটি পরে রাস্তা নষ্ট ও বেহাল দলায় পরিনত হচ্ছে।

পুকুর সংস্কারে গভীর গর্ত কাজের বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে স্কেভেটর ঠিকাদার নাহিদ হোসেন বলেন, মাটি চুক্তিতে এবং সবাইকে ম্যানেজ করেই পুকুর সংস্কারে খনন কাজ করছে। এমন সময় ম্যানেজ করার জন্য এ প্রতিবেদকের হাতে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করে স্কেভেটর ঠিকাদার। তবে এ ব্যাপারে পুকুর মালিকের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আদনান বাবু বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেনেছি। যদি কোথাও পুকুর সংস্কারের নামে গভীর গর্ত বা আবাদি জমিতে পুকুরখননের তথ্য আসে, তাৎক্ষনিক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com