বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন

কালীগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সেবা অনিয়ম অবহেলা, তদন্ত কমিটি গঠন

মোঃ আলমগীর মোল্লাস্টাফ রিপোর্টার %
  • আপডেট সময় : রবিবার, ২১ মে, ২০২৩
  • ৮৭ জন দেখেছেন

মোঃ আলমগীর মোল্লাস্টাফ রিপোর্টার %

 

ঃ গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবায় অবহেলা করায় কাজী রাকিবুল হাসান নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনা উদঘাটনে তিন সদস্য বিশিষ্ট্য তদন্ত কমিটি গঠন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার কালীগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা ও কালীগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের আহবায়ক কাজী মোহাম্মদ ওমর ফারুক সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে গত ২৯ এপ্রিল কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী সরকারী হাসপাতাল থেকে ৩০ এপ্রিল বুকের ও ডান হাতের দুটি এক্সরে করানো হয়। ওই দিন দুপুরে হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক) ডাঃ কাজী রাকিবুল হাসান রোগীকে দেখতে গিয়ে তার সমস্যার কথা জানতে চান। এসময় রোগী জানায় তার বুকে, হাতে, পিঠেসহ সমস্ত শরীরে ব্যাথা আছে এবং অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারছেন না। পরে ডাক্তার সরকারী হাসপাতাল হতে করা এক্সরে ফ্লিম দেখে তেমন কোন সমস্যা নেই, কোথাও ভাঙ্গেনি এবং বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যাবে বলে কোন ব্যবস্থাপত্র না দিয়েই চলে যান।
গত ১ মে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীকে রিলিজ করে দেন। কিন্তু শরীরের ব্যাথা না কমায় তিনি গত ৪ মে সকালে ডাঃ রাকিবুল হাসানের মোবাইলে কল করে নিজের পরিচয় দিলে ডাঃ তার সাথে খুবই রূঢ় আচরণ করেন। পরে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে গত ৭ মে পূনরায় সরকারী হাসপাতালে ডাঃ কাজী রাকিবুল হাসানের নিকট গিয়ে সমস্যার কথা তিনি তাকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করে দেন।
পরে গত ১২ মে একটি বেসরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হলে তিনি আমার শারীরিক সমস্যার কথা শুনে পূর্বের এক্সরে ফ্লিম দেখে জানান বুকের ডান পাজরের হাড় ভাঙ্গা তাই ব্যাথা কমছে না।
অপচিকিৎসা ও হয়রানীর শিকার সাংবাদিক ফারুক গত ১৪ মে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এস.এম মঞ্জুর-ই-এলাহী বরাবর ডাঃ কাজী রাকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি উক্ত ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও ডাঃ কাজী রাকিবুুল হাসানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাঃ রাকিবুল হাসান জানান, এক্সরে দেখে আমার মনে হয়নি ভিতরে কোন হাড় ভাঙ্গা। সিটি স্ক্যান করলে হয়তো বিষয়টি পরিষ্কার বুঝা যেতো।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এস.এম মনজুর-ই-এলাহী প্রতিবেদককে জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন মেডিসিন কনসালটেন্ট ডাঃ মিরাজুর রহমান, সার্জারী কনসালটেন্ট ডাঃ এলিজা সুলতানা ও ডাঃ আবিদুল আরিফিন রেজভী। কিছু কাগজপত্র হাতে পেলেই তদন্ত কার্যক্রম শুরু হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com