লিয়াকত হোসেন, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি
ঢাকা বঙ্গবাজার মার্কেটের একজন সুপরিচিত কর্মচারি আলমগীর হোসেন, বাড়ি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলাধীন রামনগর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে, সে স্থানীয় মনসুরের ২য় পূত্র, আলমগীর ২৭ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী চরভদ্রাসন উপজেলাধীন মৌলভীচর বাজার নামক স্থানের নবীর হকের প্রতিষ্ঠানের কাজে যোগদান করে। নবীর হক তখন ছিলো বঙ্গবাজারের অতি সামান্যতম ছোট একটি কাপরের দোকানদার, আলমগীর সেখানে কাজ করে, আলমগীরের বিক্রয়ের দক্ষতা যথেষ্ট ভালো, সে অনেক সহজে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে পন্য বিক্র করতে সক্ষম ছিলো, যার পরিপেক্ষিতে নবীর হকের ছোটো কাপড়ের দোকান থেকে সে মহাজন হিসেবে পরিচিতি পায়।
রমজানের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা বঙ্গবাজার আগুনে পুড় ভস্মীভূত হয়ে যায় মার্কেটটি, সেখানে নবীর হকের ২ টি বড়ো কাপড়ের গোডাউন ছিলো আলমগীর এবং তার ছোটভাই মিলে সকল পোড়া কাপড় একত্রিত করে নবীর হকের বাড়িতে মজুদ করে রাখে।
পরবর্তীতে একটি মাধ্যম থেকে আলমগীরের নিকট ফোন আসে যে ফারাজ করিম চৌধুরী যাকাতের জন্য বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্তদের কাপড় ক্রয় করবেন, তাই আলমগীর তার মহাজন নবীর হকের থেকে কথা বলে সেখান থেকে কেনা দামে ৫০ হাজার টাকার কাপড় এবং কিছু পোড়াকাপর নিয়ে ফারাজ করিমের ওখানে যায় এবং সেগুলো ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করেন।
আলমগীরের নিজস্ব কোনো ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান না থাকাতে সে নবীর হকের নামেই কাপড় বিক্রি করেন, আলমগীর চুক্তি অনুযায়ী নবীর হকের ছেলে বিল্লালকে কাপড়ের কেনা দাম ৫০ হাজার টাকা প্রদান করে তার নিজ বাড়ি ফরিদপুর চলে আসে।
পরবর্তীতে ২ দিন পড়ে ফারাজ করিম চৌধুরীর ইউটিউব/ফেসবুক পেজে আলমগীরের কাপড় বিক্রির বিষয়টি প্রচার হয়, সেখানে দেখা যায় আলমগীর নবীর হকের থেকে ৫০ হাজার টাকার কেনা কাপড় ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন, যার পরিপেক্ষিতে নবীর হক এবং তার ছেলে বিল্লাল ক্ষিপ্ত হয়ে আলমগীরকে ফোন করে বিষয়টি জানান এবং এটি নিয়ে ব্যাপকভাবে ঝামেলা করে।
একটা সময় নবীর হকের ছেলে বিল্লাল আলমগীর থেকে কাপড়ের লভ্যাংশ আরো ৫০ হাজার টাকা দাবী করে এবং ২৫ হাজার ও ১০ হাজার ২ কিস্তিতে ৩৫ হাজার টাকা নিয়েও নেন, আলমগীর অবশিষ্ট ১৫ হাজার টাকার জন্য কিছুদিন সময় চান, কিন্তু নবীর হক এবং বিল্লাল তাদের গজারিয়ায় থাকা স্থানীয় প্রভাবশালী আত্মীয় স্বজন দিয়ে বিষয়টি অন্য দিকে প্রভাবিত করে, এবং ফরিদপুর থাকা বিকাশ সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের মাধ্যমে আলমগীরকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর পোস্ট করা হয়।
পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একত্রিত হলে এটাই প্রমাণিত হয় আলমগীর নবীর হকের কাপড় আগে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নেন এবং সেগুলো পরবর্তী সময়ে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করেন, পরবর্তীতে নবীর হক আলমগীর থেকে অতিরিক্ত আরো ৫০ হাজার টাকা দাবী করে এবং ৩৫ হাজার টাকা নিয়েও থাকেন।তবে শোনা মেলা থেকে এটি জানা যায় কাপড় বিক্রি বাদেও আলমগীর এবং নবীর হকের সাথে আরো অন্যান্য বিষয়ে লেনদেন ছিলো, আলমগীর এবং ওর ভাই কাজের বেতন পেতো অন্যদিকে নবীর হক আলমগীরের নিকট ধার হিসেবে টাকা পেতেন, সব মিলিয়ে ২ পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে আলমগীর ৫০ হাজার টাকা নবীর হককে দিয়ে দেন।
কিন্তু বিষয়টি নিয়ে মিডিয়াতে অন্যভাবে প্রচারের জন্য আলমগীর বিপাকে আছে, কেননা সে কোনো চুরি বা ডাকাতি করেনি, সামান্য একজন কর্মচারি, তাকে নিয়ে এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের জন্য তার এতদিনের সম্মান নষ্ট হয়েছে বলে ।