মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ১১:২১ পূর্বাহ্ন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কৃষি ও কৃষকের উন্নতি ঘটিয়ে মহাজনপ্রথা বিলুপ্ত করেন -মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

আবুহেনা নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : সোমবার, ৮ মে, ২০২৩
  • ১৩৫ জন দেখেছেন
আবুহেনা,পতিসর আত্রাই থেকে:
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেটাকে বাস্তবে রুপদানের চেষ্টা করেছেন। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটাকে বাস্তবে রুপদান করেছেন। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ১৯০৫ সালে পতিসরে কৃষি ব্যাংক স্থাপন, আধুনিক চাষবাদের যন্ত্রপাতির প্রচলন, খামার ব্যবস্থাপনা, হস্ত ও কুঠির শিল্প, তাঁত শিল্প, রেশম শিল্পের বিকাশ ঘটানো এবং দারিদ্র বিমোচনের জন্য ঋণ কর্মসূচির প্রবর্তণ করেন। সেইসাথে  কৃষি ও কৃষকের উন্নতি ঘটিয়ে মহাজনপ্রথার বিলুপ্ত ঘটান। কবির কৃষিপ্রেমির আলোকে ও নওগাঁ যেহেতু সারা দেশের শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত তাই পতিসরে একটি কৃষি বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন যৌক্তিক মনে করেন। তিনি রবীন্দ্রনাথের চেতনা ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকলের প্রতি আহবান জানান। সোমবার কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত আত্রাইয়ের পতিসর কাচারিবাড়ির দেবন্দ্র মঞ্চে বিশ^কিব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মোৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় কর্তৃক আয়োজিত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। ২৫ বৈশাখ ৮মে সোমবার বিকাল আরাইটায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব খলিল আহমদ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহিদুজ্জামান সরকার এমপি, নিজাম উদ্দিন জলিল জন এমপি, আনোয়ার হোসেন হেলাল এমপি, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ আজম, নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদি হাসান বিপিএএ, নওগাঁ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক , স্মারক বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আশরাফুল ইসলাম, আত্রাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকতেখারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ দত্ত দুলাল, সাধারণ সম্পাদক আক্কাছ আলী প্রমুখ।
উল্লেখ্য কবির জন্মোৎসবকে ঘিরে গোটা পতিসর এলাকায় সৃষ্টি হয় উৎসবের আমেজ। কবিভক্তদের পদচারণায় কাচারিবাড়ি চত্বর হয়ে উঠে মুখোরিত। তিন দিনব্যাপী কবির ১৬২ তম জন্মোৎসব অনুষ্ঠান দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিদিন প্রথম পর্বে স্মৃতি চারণ ও আলোচনা সভা এবং দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com