হাফছা খাতুন স্টাফ রিপোর্টারঃ-
সোনাতলার চরপাড়া এলাকায় এক মাদক কারবারীর ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকৃত আসামিদের নাম প্রধান আসামির জায়গা থেকে বাদ দিয়ে নতুন করে অভিযোগ দায়ের করে দুই শিক্ষার্থীর ও এক সাধারণ ব্যক্তিকে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে সোনাতলা থানার এস আই মাহমুদুল হাসান ও ওসি সৈকত হাসানের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীর ভাই শাহিন আলম আইজিপি কমপ্লেইন মনিটরিং সেলে লিখিত অভিযোগ করেন।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মে রাত ৮টার সময় টিকটক ভিডিওতে ‘হাহা’ রিয়্যাক্টকে কেন্দ্র করে সোনাতলার চরপাড়া এলাকায় মনজুর রহমান মানিক (৪১)নামে এক মাদক কারবারীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ২৬মে একই এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে মিলন মিয়া (৪০),বেলাল হোসেন (৩৫),ও মিলন মিয়ার ছেলে সৈকত মিয়া (২০) ও অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে কে আসামি করে সোনাতলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী। পরবর্তীতে ৫জুন সোনাতলা থানা পুলিশ বাদীপক্ষের কাছে থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে প্রধান আসামির তালিকায় দুই শিক্ষার্থী ও একজন সাধারণ ব্যক্তির নাম যুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগীর ভাই শাহিন আলম জানান,তার ছোট ভাই সাকিরুল ইসলাম টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজের একজন শিক্ষার্থী এবং ওই মেডিক্যালে শিক্ষানবিস হিসেবে কর্মরত। ঘটনার দিনও তিনি মেডিক্যালে কর্মরত ছিলেন। মামলার ১ নং আসামি সৌরভ মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে সরকারি আজিজুল হক কলেজের ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত।
এলাকাবাসী জানায়,যেই তিনজনকে প্রধান আসামি দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে দু’জনই শিক্ষার্থী,অন্যজন এক শিক্ষার্থীর বাবা।তারা সবাই ‘মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি’র সদস্য। আর মামলার বাদি মনজুর ওরফে মানিকের নামে থানায় রয়েছে বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগ।
এ ব্যাপারে সোনাতলা থানার ওসি সৈকত হাসানের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।