শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন

রাজারহাটে ঐতিহ্যবাহী চাকিরপশার বিল রক্ষায় প্রতিবাদ মুখোর জনতা

ইব্রাহিম আলম সবুজ রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : বুধবার, ১ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৩৮ জন দেখেছেন

ইব্রাহিম আলম সবুজ রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সৌন্দর্য্যরে লীলা নিকেতন ঐতিহ্যবাহী চাকিরপশার বিল রক্ষায় প্রতিবাদ মুখোর হয়ে উঠেছে জনতা। বিল রক্ষায় সংবাদ সম্মেলন করে লাগাতার কর্মসূচীর হুশিয়ারী দিয়েছেন সর্বস্তরের পেশাজীবী মানুষ ও সচেতন মহল।
সরেজমিন জানা গেছে, ২৮০.৬৬ একর জমি সি.এস রেকর্ড অনুযায়ী চাকির পশার বিলের অন্তর্ভূক্ত হয়। এই বিলের সাথে কোন নদী বা নদের সম্পর্ক নেই। এ বিল প্রবাহমান অথবা খড় স্রোতা নদী বা নদের মতো নয়। বছরের অর্ধেক সময় বিল শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে যাওয়া বিলের চারপাশে ১২৬টি কৃষক পরিবার চাষাবাদ করে নিজেদের খাদ্যের চাহিদা মিঠানোর পাশাপাশি দেশের খাদ্য সমৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এ বিলের সুস্বাদু মাছের কদর রয়েছে দেশে-বিদেশে। দুই শতাব্দি ধরে এ বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য সবুজের সমারহে পানিতে ভেসে উঠা সুর্য্যরে কিরণসহ নানাবিদ দৃশ্য সর্বদা মানুষের মন কেড়ে নেয়। এ বিলে অসংখ্য বিচিত্র রঙের পাখিরা বিচরণ করে থাকে। এই বিলে ফোটা পদ্ম ও জাতীয় ফুল শাপলা দেখার জন্য প্রতিবছর জেলা, বিভাগ ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে অসংখ্য দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। সম্প্রতি চাকির পশার বিলকে নদী অথবা নদের তকমা লাগিয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন ড. তুহিন ওয়াদুদ। চাকির পশার বিল রক্ষা করতে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ইং স্থানীয় সচেতন মহল একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয় তুহিন ওয়াদুদ এর বাবার জমি এই বিলে ছিল যা তার বাবা অন্যের নিকট বিক্রয় করেছে। এখন বিলের আশপাশের কৃষকদের ক্ষতি সাধন করার জন্য বিলকে নদী অথবা নদ বলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলন থেকে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কঠিনতম আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন সচেতন মহল।

বিল রক্ষা বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব:) মোঃ ইউনুছ আলী বলেন, বিলকে যারা নদী বানাতে চায়, তাদের মধ্যে অসৎ উদ্দেশ্য কাজ করছে। ঐতিহ্যবাহী চাকিরপশার বিল রক্ষা করতে আমরা সর্বস্তরের জনগণ সোচ্চার রয়েছি।

কৃষক লিয়াকত আলী ও আব্দুল মালেক বলেন,এই বিলের স্রোত প্রবাহমান নয়। তিস্তা কেন, কোন নদীর সাথেই এ বিলের সম্পর্ক নেই। শুস্ক মৌসুমে বিলের পানি শুকিয়ে গেলে আশপাশের জমিতে চাষাবাদ করা হয়। যার ফলনও অনেক ভালো হয়ে থাকে। স্থানীয় মৎস্যচাষীরা মাছ কেনাবেচা করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। আমরা বিলকে কোন ভাবে ক্ষতি সাধিত হতে দিবো না।

রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি বলেন, চাকিরপশার বিল একটি প্রসিদ্ধ ও সুনামধন্য বিল। দেশে বিদেশে এই বিলের চর্যা করা হয়। এ বিলের মাছ অনেক সুস্বাদু এবং বিলে ফোটা পদ্ম ও শাপলা ফুলের সৌন্দর্য্য অপরুপ। স্থানীয় কৃষক ও মৎস্যজীবী মানুষ এই বিলের উপর তাদের জীবন জীবিকা চালিয়ে থাকেন। ড. তুহিন ওয়াদুদের অপপ্রচার অর্থাৎ বিলকে নদী অথবা নদ বানানো ষড়যন্ত্র কখনই সফল হবে না। আমরা জনগণ তা কখনই মেনে নিবো না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com