শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৩ অপরাহ্ন

রাজারহাটে ইউএনও কাবেরী রায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী মানুষকে আগাম সর্তকবার্তা দিয়ে মানবিকতার দৃষ্টান্ত দেখালেন

ইব্রাহিম আলম সবুজ রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৩৮ জন দেখেছেন

ইব্রাহিম আলম সবুজ রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

 

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ইউএনও কাবেরী রায়,গত ৪ অক্টোবর বুধবার বিকেলে উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন ও বিদ্যানন্দন ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে ভয়াবহ বন্যার পূর্বাভাস ও জ্বলচ্ছাস বার্তা পেয়ে ছুটে যান তিস্তার পাড়ে। তিনি বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিজেই হ্যান্ড মাইক দিয়ে মাইকিং করে নদীর তীরবর্তী মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদে আশ্রয় নিতে সর্তক করেন।

উল্লেখ গত কয়েক দিনে ভারী ও প্রবল বৃষ্টিপাতে উজানের সিকিমের ব্যারিবাধ ভেঙে ভারতের কয়েকটি জায়গায় প্লাবিত হয়ে যায়। বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণ করতে ভারত গজলডাঙ্গা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধের কয়েকটি স্যুইচ গেট খুলে দিলে লালমনিরহাট,নীল্ফামারী,গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্মাঞ্চল নিমেশেই তলিয়ে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও আবহাওয়া অফিসের আগাম সর্তকবার্তা বাস্তবায়নে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী রায়ের এই পদক্ষেপ সর্বজনের মাঝে প্রশংসা কুড়ান। এছাড়া কুড়িগ্রাম জেলা তথ্য অফিস এবিষয়ে প্রচার-প্রচারনা চালিয়েছে।

এতে তিনি উল্লেখ করেন,তিস্তা নদীর পানি সমতল ডালিয়া পয়েন্টে হ্রাস পাচ্ছে। সকাল ৯টার তথ্যানুযায়ী ডালিয়া পয়েন্টের পানি সমতল ৫১.৩৫মিঃ (বিপদসীমার ৮০সেঃ মিঃ নিচে) যা বিকেল নাগাদ বিপদসীমা অতিক্রম করে মধ্যরাত পর্যন্ত বিপদ সীমার ৫০সেঃমিঃ উপরে উঠতে পারে।

এরপর বিকেল থেকে সন্ধ্যার পূর্ব পর্যন্ত তিনি স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে উপজেলার ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ,গতিয়াশাম ও মাঝের চর এবং বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালিরহাটে নিজে নৌকা যুগে পরিদর্শন ও হ্যান্ড মাইকিং দিয়ে এলাকাবাসীকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়া তথ্য অফিসের পক্ষ থেকে এবং উপজেলার নাজিমখাঁন ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমেও একই প্রচার করা হয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন,রাজারহাট উপজেলার চরখিতাবখা,গতিয়াশাম ও খামার তিনটি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নৌকা এবং আপদকালীন সময় চাউল ও শুকনো খাবার মজুত রয়েছে বলে জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী রায় এর সত্যতা নিশ্চত করে বলেন,মসজিদ সহ সকল জায়গায় মাইকিং করা হয়েছে। তথ্য অফিসও মাইকিং করেছে। দূর্যোগ মোকাবেলার সকল প্রস্তুতি রয়েছে। জেলা প্রশাসকও বিষয়টি তদারকি করছেন বলে জানান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com