আরাফাত হোসেন নন্দীগ্রাম(বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
কালিশকুড়ি গ্রামের আব্দুল মোমিন এর কন্যা মুনিকা পাঁচপীর মাজার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের কাছে ইংরেজি প্রাইভেট না পড়াই স্কুলের ক্লাস রুম থেকে বের করে দেয়। তাঁর পেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার মোতাহার হোসেন এর নিকট অভিযোগ করে। যা তদন্তে প্রমানিত হয়েছে। এ ঘটনা ধাপাচাপা দিতে উক্ত এতিম মেয়ের ফুবা ফুবুকে ম্যানেজ করে গত ০৪ জুন২০২৩ ইং তারিখে বিকাল চারটায় স্কুল ছুটির পর জোরপূর্বক স্কুলে আটকে রেখে সাদা কাগজে সই নিতে বাধ্য করে। এ সময় মুনিকা বারংবার বলে -আমি কোন দোষ করেনি। এভাবে সই নিলে আমি আত্মহত্যা করবো। তারপরও তাঁকে সই করাতে বাধ্য করায় পরের দিন ০৫জুন ২০২৩ ইং তারিখে সকাল সাড়ে দশটায় স্কুলে এসে আত্মহত্যার জন্য ঘুমের ঔষধ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তখন স্কুলের শিক্ষকগন দ্রুত কাহালু হাসপাতালে ভর্তি করায়।
বর্তমানে ওই মেয়ে হাসপাতালে স্কুলের আয়া নুর জাহানও ও-ই মেয়ের ফুবু (হেড মাস্টারের ম্যানেজ করা) প্রহরায় চিকিৎসাধীন।
তথ্য সংযুক্ত ঃ ofউপরের উল্লেেখিত ঘটনায় স্ ৬জুন সকাল সাড়ে দশটায় পাঁচপীর মাজার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ক্লাস বর্জন করে পাঁচপীর তালোড়া রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। এ সময় উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার মোতাহার হোসেন এসে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাসের পেক্ষিতে প্রায় ১ঘন্টা অবরোধ অবসান ঘটিয়ে স্কুলে ফেরত নিয়ে যান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাহালু থানার এস আই নাজমুল হোসেন।
উল্লেখ্য যে, তাঁর আগে উক্ত স্কুলের হে মাষ্টার স্কুল হতে জনতার দাবীর মুখে পুলিশের সহতায় ওই স্কুল ত্যাগ করেন।
স্কুলের ছাত্রীরা এবং এলাকাবাসীর দাবী ওই হেড মাস্টারকে রেখে স্কুলের ক্লাসে ফিরবে না এবং অভিভাবকগন তাঁদের মেয়েদের স্কুলে পাঠাবে না।
এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরবর্তী যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না ঘটে তা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকেই দেখা উচিত বলে মনে করছে এলাকাবাসী।