শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৬ অপরাহ্ন

নন্দীগ্রামে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করায় ভেকু মালিকসহ ৩জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাংবাদিকের নাম:
  • আপডেট সময় : বুধবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৪
  • ৭৮ জন দেখেছেন

 

হাফছা খাতুনঃ

স্টাফ রিপোর্টারঃ- বগুড়ার নন্দীগ্রামে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করার অপরাধে ৩জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।রবিবার (৩১ডিসেম্বর) এস্কেভেটর ও জমির মালিক সহ ৩জনের নাম উল্লেখ করে নন্দীগ্রাম থানায় মামলা করেন ১নং বুড়ইল ইউনিয়ন (ভূমি) উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান আকন্দ। মামলার বিবরণী থেকে জানা যায় ফসলি জমি কেটে পুকুর ভরাট সহ গ্রামীন কাচা রাস্তা নষ্ট করে মাটি বিক্রয় হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার নির্দেশে ১নং বুড়ইল ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান আকন্দ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে দেখা মাত্রই এক্সেভেটর রেখে পালিয়ে যান জমির মালিক সহ আসামীরা। ভূমি কর্মকর্তা মুনিরুজ্জামান আকন্দ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জানতে পারেন পেং-হাজারকি গন্ধর্বপুর এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে আব্দুল মান্নান (৫৫), এর ধানি জমি হাজারকি পাড়া মৌজার জেএল নং-২৩৫, দাগ নং-৫৩৮৯, ৫৩৮৭, খতিয়ান নং- ২৯০,১৪২৬-এ অবস্থিত ফসলি জমিটি একই এলাকার মৃত শুকুর আলীর ছেলে মোঃ রেজাউল করিম রেজা (৪৫), এর সহযোগীতায় নাটোর জেলার সিংড়া থানার কালাইকুড়ি পূর্বপাড়ার আসকান আলীর ছেলে এক্সেভেটর মালিক নাহিদ হোসেন (৩৫), কে পুকুর খননের চুক্তি দেয়। নাহিদ হোসেন তার ভেকু মেশিন দ্বারা মাটি কেটে গভীর গর্ত করে পাড় ভরাট করছে এবং উক্ত মাটি ট্রাক্টর ট্রলি যোগে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট অধিক মুনাফায় বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রয় করছে যাহা ২০১০ সালের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ৪ এবং ১১ ধারার বড় ধরনের অপরাধ । ১নং বুড়ইল ইউনিয়ন (ভূমি) উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান আকন্দ গত ৩১ডিসেম্বর নন্দীগ্রাম থানায় হাজির হয়ে ৩জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।এলাকার পরিবেশ রক্ষার্থে জনস্বার্থে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবী জানান তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com