বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মা ও দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার

সাংবাদিকের নাম:
  • আপডেট সময় : রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২
  • ২৩৭ জন দেখেছেন

মোস্তফা প্রামানিক, স্টাফ রিপোর্টারঃ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মা ও দুই সন্তানের লাশ উদ্ধারের সময় এলাকাবাসী ভিড়

স্থানীয় জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মবুপুর গ্রামের বাসিন্দা সুলতান আলী বহু বিয়েতে আসক্ত। কিছুদিন আগে তিনি জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসেন। তিনদিন আগেও তাকে আমরা এখানে দেখেছি। আমাদের ধারণা, সুলতান লোকজন নিয়ে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করেছেন।’

সিরাজগঞ্জে মা ও দুই সন্তানের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বেলকুচি উপজেলার মবুপুরে নিজ বাড়ির তালাবদ্ধ ঘর থেকে শনিবার মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। তারা হলেন স্থানীয় সুলতান আলীর স্ত্রী রওশন আরা বেগম এবং তার দুই সন্তান জিহাদ ও মাহিম।

চল্লিশোর্ধ্ব রওশনের দুই সন্তানের মধ্যে একজনের বয়স ১০ ও আরেকজনের বয়স চার বছর।স্থানীয় লোকজন ও রওশনের স্বজনদের দাবি, সুলতান আলী তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়েছে।

স্থানীয় জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মবুপুর গ্রামের বাসিন্দা সুলতান আলী বহু বিয়েতে আসক্ত। কিছুদিন আগে তিনি জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসেন। তিন দিন আগেও তাকে আমরা দেখেছি। আমাদের ধারণা, সুলতান লোকজন নিয়ে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন।’জাহিদুল জানান, সুলতানের বাড়ি ফাঁকা জায়গায় হওয়ায় ওদিকে মানুষের চলাফেরা কম। শনিবার বিকেলে রওশন আরার বোন বেলাল হোসেনের স্ত্রী লিলি খাতুন ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা তালাবদ্ধ দেখতে পান। তখন ঘরের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। পরে স্থানীয়দের ডেকে এনে তালা ভেঙে ভেতরে তার বোন ও দুই ভাগনের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধারে তৎপর হয়।

লিলি খাতুন বলেন, ‘আমার বড় বোন রওশন আরা পাশের গ্রামে তাঁত কারখানায় সুতা মরাইয়ের কাজ করতেন। তিন দিন ধরে তিনি কাজে না যাওয়ায় মহাজন আজ (শনিবার) সকালে আমাকে ফোন দিয়ে খোঁজ নিতে বলেন।

‘আমি বিকেলে বোনের বাড়িতে এসে দেখি ঘরে তালা। খোলা থাকা জানালা দিয়ে উঁকি দিলে দুর্গন্ধ ভেসে আসে। পরে পাশের কয়েকজনকে ডেকে এনে তালা ভেঙে দেখি আমার বোন আর ভাগনেদের লাশ পড়ে আছে।’ লিলি বলেন, ‘আমার বোনের জামাই খালি বিয়া করে। সে এখানে মাঝে মাঝে আসে। সে জেলে ছিল। কবে বের হয়েছে জানি না। তবে সবাই বলতেছে যে সে কয়েক দিন আগে এখানে এসেছিল। দুলাভাই মনে হয় লোকজন নিয়ে ওদেরকে মেরে ফেলেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’

বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজমিলুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা পচে যাওয়া লাশগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছি। সিরাজগঞ্জ সদর থেকে সিআইডি টিম আসছে। তারা আসার পর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠাব। ময়নাতদন্তের পর হত্যার কারণ জানা যাবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com