বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন

সালথায় ভাই হত্যার অভিযোগে ৬ জনকে আসামী করে আদালতে বোনের মামলা  

লিয়াকত হোসেন, নগরকান্দা উপজেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : সোমবার, ১ মে, ২০২৩
  • ৬৪ জন দেখেছেন

লিয়াকত হোসেন, নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রাহুতপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান মাতুব্বর এর ছেলে ডিসিষ্ট শিপন(৩৫) কে হত্যার অভিযোগে বোন ঝর্না আক্তার বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ন্য আমলী আদালত,ফরিদপুর ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার মামলা করেন।মোকদ্দমা ঃ দঃ বিঃ ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩২৬/৩৭৯/৩০২/১১৪/৩৪ ধারা।মামলার আসামীরা হলেন ১।আজগর আলী(৪০),২।মোহাম্মদ আলী(৪৫) উভয় পিতা – ইসরাল বিশ্বাস সাং বিলনালিয়া নদীর পশ্চিম পাড় থানা সালথা,৩।মিন্টু(৩৫)পিতা ছাদিক মল্লিক সাং বাহিরদিয়া থানা সালথা ৪।মোঃ পারভেজ শেখ(৩৫) পিতা – মৃতঃ হোসেন শেখ সাং বাখুন্ডা থানা কোতোয়ালি ৫।জিলু (৩৬)পিতা- জয়নাল সাং কানাইড় থানা সালথা ৬।কামরুল(৩৫) পিং অজ্ঞাত সাং বাখুন্ডা।

শপন এর লাশ পোস্টমর্টেম ছাড়াই দাফন সম্পুর্ন করেন তার পরিবার।গত ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার স্থান মুন্সী বাজার কাফুরা সুজন ওরফে মন্জু নামে এক ব্যাক্তির বিল্ডিং নির্মাণের কাজে যায় এবং সেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় তার গুরুতর আহত হয়েছে বলে মামলার ১ নং স্বাক্ষী হেলাল মাতুব্বর এর মাধ্যমে জানতে পারে।শিপন এ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার খবর শুনতে পেরে তার পরিবারের লোকজন ছুটে যায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে আহত অবস্থায় শিপন কে দেখতে পেলেও আসামীরা পালিয়ে যায়।শিপনের অবস্থা আসংখ্যা জনক হওয়ায় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাকে ঢাকা নিউরো সাইন্স হাসপাতালে রিপার্ট করে।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিপনের মৃত্যু হয়। পোস্টমর্টেম ছাড়াই শিপনের লাশ গ্রামের কবর স্থানে দাফন সম্পুর্ন করেন।

নিহতের পিতা আব্দুল মান্নান বলেন আমার ছেলে শিপন মাতুব্বর রাজ মিস্ত্রি সে বিলনালিয়া গ্রামের ইসরাল বিশ্বাস এর ছেলে ফোরম্যান আজগারের সাথে ফরিদপুর মুন্সীর বাজার প্রবাসী সুজন ওরফে মন্জুর নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের কাজ করে সেখানে তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে আসামী আজগর সহ তার সহযোগীরা।এছাড়া তিনি আরও বলেন প্রথমে শিপন গাড়ি এক্সিডেন্ট করেছে বলে আমাগো জানালে ছেলের মৃত্যুর পর তার লাশ বাড়িতে এনে দাফন সম্পুর্ন করে।ছেলের লাশ দাফনের পর তারা জানতে পারে শিপন কে মারপিট করায় তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শিপনের মুখে নাকে আঘাতের চিন্থ ছিল। মামলার বাদী ঝর্না আক্তার (৪৫) বলেন, আসামীরা প্রথমে আমাদের জানায় যে শিপন রোড এ্যাক্সিডেন্ট করেছে। ভাই শিপন মারা যাওয়ার পর তার লাশ মাটি দেয়ার পর কাজের স্থানে গিয়ে একাধিক সুত্রে জানতে পারি যে সেখানে কোন রোড এ্যাক্সিডেন্ট হয়নি তাকে মারপিট করা হয়েছে। সে জানায় রাজের কাজের টাকা নিয়ে শ্রমিকদের সাথে ফোরম্যান আজগর ও মোহাম্মদ আলীর মধ্যে কলহ বাধে এবং সে সময় লোহার রোড, কুন্নি দিয়ে তাকে মারপিট করে ও আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যায়। ভাই হত্যার বিচার দাবিতে আদালতে মামলা করেছি।নিহতের স্ত্রী রোকসানা বলেন আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই, বিচার চাই।

কন্টাক্টর আজগার ও মোহাম্মদ এর বাড়িতে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি।অন্য আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে বাড়ির মালিক সুজন ওরফে মন্জু বিদেশে থাকেন বলে স্থানীয় লোকজন জানান। গট্রি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাবলু বলেন প্রথমে শুনেছি শিপন বিল্ডিং এর দোতলা থেকে পড়ে গেছে হাসপাতালে গিয়ে তাকে দেখে আসি শিপন মারা যাওয়ার পর শুনতে পারি যে রোড এ্যাক্সিডেন্ট করেছে, আবার শোনা যায় তাকে মারপিট করেছে। মারপিটের কারনে যদি তার মৃত্যু হয় অপরাধীদের বিচার দাবি করছি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com