ইব্রাহিম আলম সবুজ রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে জমা-জমির জের ধরে এক ব্যক্তিকে শারীরিক নির্যাতনসহ মারধর ও একটি খরের পুঁজে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ঃ০০ঘটিকায় উপজেলার নাজিমখাঁন ইউনিয়নের পর্দানপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে টানটানা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রাজারহাট উপজেলার নাজিমখাঁন ইউনিয়নের পর্দানপাড়া এলাকার মৃত যতীন্দ্র নাথ প্রধানের পুত্র শ্রী যোগেন চন্দ্র প্রধান (৫৩) ও প্রতিবেশী শ্রী নরেশ চন্দ্র প্রধানের পুত্র শ্রী শয়ন চন্দ্র প্রধান ও চয়ন চন্দ্র প্রধান এর সঙ্গে জমা-জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া বিবাধ চলে আসছিল। এর সূত্র ধরে গত ২৫ অক্টোবর বুধবার দুপুর ১২ঃ০০ঘটিকায় শ্রী শয়ন চন্দ্র প্রধান ও চয়ন চন্দ্র প্রধানগংরা লাঠি রড, ও ছোরা নিয়ে যোগেন চন্দ্র প্রধান এর বাড়িতে এসে অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজ করে। এতে তার বড় ভাই নরেশ চন্দ্র প্রধান প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করে বাশেঁর বেড়া, খুটি ভাংচুর করে প্রায় ৪০০০হাজার টাকা ক্ষতি করে মিথ্যা মামলা ও হাত-পা ভেঙ্গে দেয়াসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতির হুমকি দিয়ে চলে যায়। এমতাব্যস্থায় স্থানীয়রা নরেশ চন্দ্র প্রধানকে আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এরপর শয়ন চন্দ্র প্রধানগংরা ওইদিন রাত ১ঃ০০ঘটিকায় বাড়ির উঠানে থাকা একটি খরের পুঁজে আগুন দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শ্রী যোগেন চন্দ্র প্রধান (৫৩) বাদী হয়ে নরেশ চন্দ্র প্রধানের পুত্র শ্রী শয়ন চন্দ্র প্রধান (৩০) কে প্রধান আসামী করে চয়ন চন্দ্র প্রধান(২২), মৃত শতীস চন্দ্র প্রধানের পুত্র নরেশ চন্দ্র প্রধান (৬২), নরেশ চন্দ্র প্রধানের স্ত্রী শ্রী মতি শেফালী রাণী (৫৫), রাজারহাট উমরমজিদ ইউপির ডাংঘাট এলাকার মৃত চেংটু রায়ের পু্ত্র শিখর চন্দ্র রায় (২৭), পাঠানপাড়া রতিরাম এলাকার মৃত সুরেন চন্দ্র রায়ের পুত্র সুজিৎ চন্দ্র রায় (৩৭), ও উমরমজিদ ইউপির ডাংঘাট এলাকার আব্দুল বারীর পুত্র মো.আলম মিয়া (৩৪)কে আসামী করে রাজারহাট থানায় একটি লেখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজারহাট থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়টি তদন্তপূর্বক আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।