কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের কলগার্ল কর্তৃক সংঘবদ্ধ একটি চক্রের বিরুদ্ধে থানায় মামলা এবং প্রতারক চক্রের দুই সদস্য জেল হাজতে প্রেরণ।
প্রথমে আলাপচারিতা তারপরে রঙ্গ রসের কথা বলে মন কেড়ে নেয়। বয়সের বাচবিচারে সম্পর্ক জুড়ে দেয় দাদা ভাই, নানা ভাই, দুলা ভাই আবার কোথাও প্রেমিকা হিসেবে। কয়েকদিন কথা বলার পরই গোপন অভিসারে মিলিত হবার প্রস্তাব দেয়। কেউ এমন প্রস্তাবে সাড়া দিলে গোপনে ছবি তুলে অথবা ভিডিও ধারণ করে। পরে সেই ছবি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেবার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এভাবে সাদাসিধে অথবা ধনাঢ্য পরিবারের লোকদের বেছে নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। সম্মানের ভয়ে এমন ঘটনায় প্রতারিত হয়েও বিচার প্রত্যাশী হচ্ছেন না অনেকেই।
সাম্প্রতিক এমন একটি ঘটনার খবর জানা গেছ রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নে। গত ২২ জানুয়ারি ২০২৪ রাতে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের নুরুজ্জামান(৫৪) নামে এক ব্যক্তি এমন একটি ঘটনার শিকার হয়েছেন। প্রতারণার শিকার নুরুজ্জামানের কাছ থেকে ২,৭৫,০০০ টাকা হাতিয়ে নেবার কথা উল্লেখ করে তিনি রাজারহাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহারের আলোকে মনি আক্তার স্বামী হামিদুল ইসলামকে কলগার্ল উল্লেখ করে গোলজার হোসেনের ছেলে সহিদ মিয়া (৪০) ও সূর্য মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩০) কে প্রধান ও অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামী করে ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইং একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। মামলা নং ০৫। মামলার সূত্র ধরে গত শনিবার ১০ ফেব্রুয়ারী রাতে উক্ত কলগার্ল মনি আক্তার ও তার স্বামী হামিদুল ইসলামকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে রোববার দুপুরে জেল হাজতে প্রেরণ করেন রাজারহাট থানা পুলিশ। বাকী অপর আসামি পলাতক রয়েছে।
রাজারহাট থানার ওসি তদন্ত ওয়াহেদুল ইসলাম বলেন কলগার্ল কর্তৃক ডেকে এনে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের মুল হোতা মনি আক্তার ও তার স্বামী হামিদুল ইসলামকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছি এবং অপর পলাতক আসামী দ্রুত গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত আছে।