শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীর তানোরে জুয়েলারির আড়ালে অন্য কারবার

মমিনুল ইসলাম মুন বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ১০৯ জন দেখেছেন

মমিনুল ইসলাম মুন বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি :

 

রাজশাহীর তানোরে জুয়েলারি ব্যবসার আড়ালে রমরমা দাদন (সুদ) ও বন্ধক বানিজ্যর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর থানা মোড়ের কথিত জুয়েলারি মালিকের দিকে। যাদের সোনা-চাঁদি সম্পর্কে প্রকৃত ধারণা নাই। এরা জুয়েলারি ব্যবসার নামে উচ্চ সুদে দাদন ও সোনা-চাঁদি বন্ধক বাণিজ্যে করছে। আর এদের এসব অপকর্মের কারণে প্রতিষ্ঠিত জুয়েলারি মালিকগণ বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়ছে।

স্থানীয় অসমর্থিত সুত্র জানায়,

সোনা-চাঁদি বন্ধক নিয়ে উচ্চ সুদে

দাদনে টাকা দিচ্ছে নিউপাল ও সবিতা জুয়েলার্স। তাদের লাইসেন্স নাই, এরা আয়কর দেয় না। এতে প্রতিষ্ঠিত জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ক্ষুন্ন হচ্ছে সুনাম।এবিষয়ে  সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ী মহল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান, কয়েকমাস আগে সবিতা জুয়েলার্সে বাইশ ক্যারেটের সোনার মালা বন্ধক রেখে হাজারে তিনশ’ টাকা সুদে কুড়ি হাজার টাকা কর্জ নিয়েছিলেন। কিন্ত্ত সুদাসলে ৩৩ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলেও তাকে একই ডিজাইনের নিম্নমাণের সোনার মালা গছিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে সামাজিক মর্যাদার কারণে তিনি এর কোনো প্রতিবাদ করতে পারেননি। সবিতা জুয়েলারির মালিক অমল ও

নিউপাল জুয়েলারির মালিক সিদানাথ পাল একই কায়দায় সুদের ব্যবসা করে আসছেন। এসব টাকা আদায়ে প্রতিনিয়ত হট্রগোল লেগেই থাকে।  কেউ সুদসহ নিদ্রিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে বন্ধকি সোনা ফেরত না দিয়ে তারা নিয়ে নেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠিত একাধিক ব্যবসায়ী জানান, এরা দু’জন জুয়েলারি ব্যবসার নামে রমরমা সুদের ব্যবসা করছেন।

তাদের সুদের টাকা  সময় মতো দিতে না পারলেই বন্ধকি সোনা-রুপা

ফেরত না দিয়ে নিজের করে নেয়। আবার ক্রয় রশিদ ছাড়াই তারা সোনা-চাঁদি কিনেন। তাদের খপ্পড়ে পড়ে অনেকে ভরি ভরি সোনা-চাঁদি খুঁইয়েছেন।  কেউ যদি একভরি সোনা বন্ধক রেখে টাকা নেয়। তবে ফেরত নেবার সময় তা কমে যায় এমন অভিযোগও রয়েছে। এই দু’জনের জন্য প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সুনাম ক্ষুন্ন এবং সাধারণ মানুষের মাঝে নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি হচ্ছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে সবিতা জুয়েলারির স্বত্ত্বাধিকারী  অমল কুমার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার ব্যবসা ভালো হচ্ছে  এটা অনেকের সহ্য হচ্ছে না। এই জন্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করছে। একই কথা বলেন সিদানাথ পাল। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও  পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, জুয়েলার্স বা ব্যবসার আড়ালে সুদের ব্যবসার কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, অতিশিঘ্রই এসব দোকানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে। যদি সুদের ব্যবসার প্রমান পাওয়া যায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com