লেখক: মোঃ এনামুল হক
মানসিক স্বাস্থ্য সত্যিকারের একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ । সামাজিক প্রেক্ষপটে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহন করাও একটি কঠিন কাজ । একটা বৈধ পবিত্র সম্পর্ক নিয়ে বিরূপ মনোভাবের কোনো সুযোগ আছে কি? আমার জানামতে, বিয়েই হচ্ছে একজন মানুষের জৈবিক চাহিদা মেটানোর বৈধ উপায়। এমন কোনো প্রাণী নেই যাদের জৈবিক চাহিদা নেই। শারীরিক গঠনভেদে, অাবহাওয়া ও জলবায়ুর কারণে বিভিন্ন দেশে এই চাহিদার সময়সীমা ভিন্ন ভিন্ন।
কিন্তু অত্যন্ত লজ্জার বিষয় হলো, কোনো কারণে যদি একজন পুরুষ বিপত্নীক বা একটা নারী বিধবা/তালাক প্রাপ্ত হয় আমাদের সমাজের কিছু ভালো মানুষ কোনোভাবেই দ্বিতীয়/তৃতীয়/চতুর্থ বিয়েটাকে সাপোর্ট করে না। বেশির ভাগ মানুষের জাত গেল জাত গেল মনোভাব।
অনেকেই দেখছি মোশতাক -তিশাকে মানতে পারছে না। একজন মানুষের জৈবিক প্রয়োজনে সে বিয়ে করবে, নোংরামি তো করবে না। সাম্প্রতিক দেশে বহু বিবাহ, পরকিয়া, বিবাহ বহির্ভূত মেলা-মেশা যিনা-ব্যাভিচার বেড়েই চলেছে! এগুলো সামাজিক অবক্ষয় বটে। তবে এ সমস্যার সঠিক সমাধান হলো নৈতিক শিক্ষা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত করার মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে তা ছড়িয়ে দেওয়া।আত্মীয়-স্বজন বা আমরা টল করবো কেন? আমরা যেটা দেখতে পারি সেখানে দ্বিগামীতা/ভাবিচার/পরক্রিয়া আছে কি না । মোশতাক-তিশার বিয়ে আইনসম্মত এবং ধর্মীয়ভাবেও অনুমোদিত। কিন্তু সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী ও রুচির দূর্ভিক্ষ। তাই আত্মীয়-স্বজন বা আমরা যারা টল করছি বা বইমেলার ঘটনাও অগ্রহণযোগ্য। বই মেলায় প্রকাশিত বইয়ের নীতিমালা অবশ্যক নতুবা রুচির দূর্ভিক্ষের কবলে পরবে আমাদের পছন্দ, শিক্ষা ও মূল্যবোধ । নাটোরের মন্তব্য গন্তবো ঠেকাতে পারে না সেই দম্পতির পরিনতিও আমরা মিডিয়ার কল্যাণে দেখেছি ।
যাই হোক, মোশতাক-তিশা দম্পতি যদি আদালতে আসে যখন উভয় পক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবীগণ আইন-নজির ও বিচার বিভাগীয় রীতি-নীতি সেগুলোর সীমা-পরিসীমা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করবে । আজ আর সেগুলো নিয়ে আলোচনা করবো না । তবে একটু দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করুন। কোনভাবে আপনার আপনজন সে মহিলা হোক বা পুরুষ সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছে যদি একা হয়ে যান বা তালাক প্রাপ্ত হন। তাকে সঙ্গী নির্বাচনের সুযোগ করে দিন। বিয়ে একটা বৈধ পবিত্র সম্পর্ক এখানে বিরূপ মনোভাবের কোনো সুযোগ নেই।
একজন মানুষের মানসিক চাহিদা মেটানোর জন্য হলেও একজন সঙ্গীর প্রয়োজন। যেটা কেবল স্ত্রী বা স্বামীই মেটাতে পারে। ছেলে-মেয়ে, শুভাকাঙ্খি, আলোচক-সমালোচক নয়। তবে সঙ্গি নির্বাচনের সময় বয়স ও শারীরিক গঠন এবং সক্ষমতার দিকে বিশেষ নজর দিবেন যাতে সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী ও রুচির দূর্ভিক্ষ না ঘটে ।