সুইটি আক্তার মাদারীপুর
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের ২- নং ওয়ার্ডের সচতাল খেয়াঘাট নামক এলাকায় আড়িয়াল খাঁ নদীর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে জমজমাট চালাচ্ছে ব্যবসা।
আড়িয়াল খাঁ নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় । ফলে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ভাঙন রোধে সরকারের বরাদ্দ কৃত কোটি- কোটি টাকার জিও ব্যাগ ও ঐ এলাকার কৃষি জমি বসতি বাড়ি ঘর ভাসিয়ে নিয়েছে নদী ভাঙ্গনের স্রোতে, এছাড়া দেখা যাচ্ছে, ঐ এলাকার মানুষের ৯০% লোক কৃষি জমি আবাদ করেই জীবিকা নির্বাহ করে সংসার চালিয়ে আসছেন। নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায়। ফলে বিগত দিনে কৃষকের আবাদি জমি বসতি বাড়ি ঘর হারিয়েছে, বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছে” কয়েকটি গ্রাম ও শত শত হেক্টর কৃষি জমি।
এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েও কোনো সু- ফল পাননি ভুক্তভোগী গ্রামবাসী। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায়, প্রতিবাদ করতে ভয় পাচ্ছে এলাকা বাসি।
আলীনগর ইউনিয়নের সচতাল এলাকার ২-নং ওয়ার্ডের মোঃ -সালাম ফকির, মোঃ আবুল হোসেন, মনু খাঁ সহ কয়েকজন ভুক্তভোগী চায়ের দোকানে বসে সাংবাদিকদের কাছে কান্না জড়িত কন্ঠে অভিযোগ জানান, আমাদের বাপদাদার পৈত্তিক সম্পত্তি কৃষি জমি ও বসতি বাড়ি ঘর হারিয়েছি, এই ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারনে- নদীতে ভেঙে গেছে আমাদের বসতি বাড়ি ঘর এখন ঐ পাড় থেকে এ-ই পার এসেছি, এখনেও দেখছি আমাদের থাকতে দিবে না, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা ব্যাক্তিরা হলেন, আগবার মোল্লা ও এমদাদ হোসেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে সত্যতা প্রমাণিত হলে,
এছাড়া জানা যায়, আলীনগর ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা ৫-‘টি ড্রেজার মেশিনের মালিক প্রভাবশালী আগবার মোল্লা ও সহযোগী এমদাদ হোসেন, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসতেছে ঐ নদী থেকে কেউ কিছু বললেই মেরে ফেলার হুমকি ধামকি সহ ভয়ভীতি দেখিয়ে আসতছে” কেউ ভয়ে কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না। নদী থেকে ড্রেজার মেশিন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা ব্যাবসায়ী আগবার মোল্লা ও সহযোগী এমদাদ হোসেনকে” নাম প্রকাশ করায় অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যাক্তি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, কিছু সরকারি লোক ও স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাকে সপ্তাহ মাসোয়ারা দিয়ে নাকি ড্রেজার মেশিন দিয়ে আড়িয়াল খাঁ নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেন।
আলীনগর ইউনিয়নের বেশকিছু বৃদ্ধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নাম প্রকাশ করায়, অনিচ্ছুক আরও জানান , যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ব্যবসায়ী, আগবার মোল্লা ও সহযোগী এমদাদ হোসেন, এর আগে শুনেছি মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াঁজপুর ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আনছে “গত( ৩) তিন বছর ধরে হটাৎ করে আড়িয়াল খাঁ নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা শুরু করে এখন আলীনগর ইউনিয়নের সচতাল নদীর পাড়ের বসতি বাড়ি ঘর সহ শত’ শত” হেক্টর কৃষি আবাদি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে” যা দিয়ে এই এলাকার মানুষের জীবিকা নির্বাহ করে বেঁচে থাকার এক মাত্র সম্বল। আমরা এলাকা বাসি কিছু বললে হচ্ছি -হুমকি-ধমকির শিকার। তা-ই অতিদ্রুত এই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে গ্রাম ও কৃষিজমিগুলো বাঁচাতে বাংলাদেশ সরকার ও প্রশাসনের সু- দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকা বাসি।
অবৈধভাবে নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বালু ব্যবসায়ী – আগবার মোল্লার কাছে জানতে তাঁর মোবাইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আগবার মোল্লার সহযোগী এমদাদ হোসেন কে তাঁর মোবাইল ফোনে কল দিলে এমদাদ হোসেন বলেন, আমি আসতেছি – আপনারা অপেক্ষা করুন, এমদাদ হোসেন, সাংবাদিকদের সামনে এসে সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা প্রশাসনিক ও নেতা থেকে শুরু করে সবাইকে সপ্তাহ মাসোয়ারা দিয়েই ড্রেজার মেশিন চালাই।
এবিষয়ে – কালকিনি উপজেলা এসিল্যান্ড, মোঃ কায়েসুর রহমান বলেন, আমরা যখন অভিযান পরিচালনা করি কাউকে পাইনা,তবেঁ নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসতেছে, আগবার মোল্লা ও তাঁর সহযোগী এমদাদ হোসেন, ঐ এলাকার ভুক্তভুগী সচেতন মহলের লোকজন জানিয়েছেন ” আমরা এ-দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পিংকি সাহা বলেন, আমরা এ বিষয় অভিযান পরিচালনা করে এপযন্ত কালকিনি উপজেলার আওতাধীন নদীতে থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায়, ড্রেজার মেশিনের পাইপ ধ্বংস ও ড্রেজার মালিকদের জরিমানা করছি। এ ব্যাপারে ও আমরা অতি দ্রুত পদক্ষেপ নিব ।