সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন

ময়মনসিংহে ১নং ফাঁড়ীর আওতায় মাদকের স্পষ্ট কিশোরী দিয়ে ব্যাবসা পুলিশের দৃষ্টির আড়ালে!

মোঃ শহিদুল ইসলাম
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৫৪ জন দেখেছেন

শিবলী সাদিক খানঃ

ময়মনসিংহে ১নং পুলিশ ফাঁড়ীর আওতায় মাদকের স্পষ্ট, কিশোরী দিয়ে ব্যাবসা পুলিশের দৃষ্টির আড়ালে!এমন অভিযোগ উঠেছে।

উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় ফুটপাত রাস্তায় হকার সরাতে সাময়িক ঢিলেঢালা অভিযান চলছে এতেই জনসাধারণের মনে কিছুটা সস্থি ফিরে এসেছে। দরিদ্র হকার ব্যাবসা করবে ফুটপাত রাস্তার ভাড়া জনপ্রতি ২ থেকে ৩শত টাকা দিতে হবে কেন? এমন প্রশ্নের সমাধান চায় নগরবাসী।

আশঙ্কাজনকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে মাদক। শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামেও বিকিকিনি হচ্ছে। অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠালেও কিছুদিন পর আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে আবার মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সবসময় চুনোপুঁটিরা আইনের আওতায় এলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে মাদক কারবারি ও গফফাদাররা। পড়াশোনা শেষ করে তরুণ-যুবকদের অনেকেই চাকরি বা ব্যবসা-বাণিজ্যে যোগ দিলেও দিনের পর দিন নানা চেষ্টা করেও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে না অনেকের। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেকারের তালিকা দীর্ঘ হওয়ায় এসব তরুণ-যুবকের মধ্যে অনেকেই মাদকাসক্তে জড়িয়ে পড়ছে।

হাতের কাছে মাদক পাওয়া যাওয়ায় স্কুল-কলেজের অনেক শিক্ষার্থীও মাদকাসক্ত হয়ে যাচ্ছে। মাদকের টাকার জন্য মা-বাবার ওপর অত্যাচারও করা হয়। পরে বাধ্য হয়ে বাবা-মা সন্তানকে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে। মাদকের প্রভাবে শুধু পরিবারে অত্যাচার নয়, বহু কিশোর-তরুণ খুন-ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। বসে নেই নারীরাও। অভাব-অনটনের মধ্যে থাকা অনেক নারী ভদ্রবেশে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন। আবার অনেকে মাদক ব্যবসায় স্বামীকে সহায়তা করতে এ রাজ্যে পা বাড়াচ্ছেন। এরপর সময়ের পরিক্রমায় নিজেও মাদক সম্রাজ্ঞী বনে যাচ্ছেন।

জেলার পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মদ ভূঞার নির্দেশনায় ডিবি, কোতোয়ালি পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিল, নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ও ইনজেকশন, দেশি-বিদেশি মদ উদ্ধার করে যাচ্ছে।

সম্প্রতি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও মাদক গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে। হাজ্বী কাশেম আলী কলেজের মাঠে ও বস্তিতে ছোবহান, সুরমা, রিনা, সুবর্না, সুজন, লিটন দীপু, তানিয়া গংদের জমজমাট গাঁজা ব্যাবসা সকালেই জানে, মাঝে এদের দু’একজনকে পুলিশ ধৃত করে আইওয়াশ করলেও থেমে নেই মাদক স্পটের ব্যাবসা।

যৌনপল্লীতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে মদ গাজা, বেচা-কেনা হচ্ছে ইয়াবা। বিশেষ পাহাড়ার মাধ্যমে যৌনপল্লীতে কিশোরী মেয়েদের জিম্মী করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
পতিতা পল্লীতে চার শতাধিক পতিতা রয়েছে । সুত্রমতে এদের মধ্যে ৫০ জন বয়োবৃদ্ধ । মধ্য বয়সের ৪০ জন প্রভাবশালী । আর এদের ঘরে রয়েছে ৫/৬ জন করে ছুকরী । এদের বেশীর ভাগই কিশোরী , নাম ঠিকানা সঠিক নয় ! বাকি ৪০/৫০ জন একা ঘর নিয়ে বসবাস করে । প্রভাবশালী ৪০ জনই সরর্দানী বলে পরিচিত । এদের প্রত্যেকের রয়েছে ২/৩ জন করে মাস্তান । ওরা মেয়েদের দেখে রাখে ,যাতে পালাতে না পারে । ফলে অনেক মেয়েরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেহ দানে বাধ্য হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এছাড়াও ফাড়ির সামনে এবং আশ পাশেই বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। সে গুলোতে চলছে দেহ ব্যবসা। আসাদ, হেরা, খানসহ ৮/১০টি আবাসিক হোটেলের বর্ডারের প্রয়োজনে ফোনকল করলেই কলগার্ল হাজির। আশা মনি আর মালেক গেস্ট হাউজে চলে দিবারাত্র নারী ও হিজরা দিয়ে দেহ ব্যবসা। সেবন হয় ইয়াবা ও হেরোইন। ফাড়ি পুলিশের মাসোহারা ১২ হাজার টাকা, এমন কথাই জানালেন হোটেল ম্যানেজার, এসব নিয়ে ইতিপুর্বে রিপোর্ট হলেও মাসোহারার কারণে অপরাধ গুলো রয়েছে পুলিশের দৃষ্টির আড়ালে। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট নগরীর জনমনের এমন অভিযোগের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী নগরবাসীর।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com