বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন

ভাঙ্গায় ছেলেধরা সন্দেহে গন পিটনিতে নিহত – ১

তরিকুল ইসলাম রুবেল ফরিদপুর জেলা স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৪৬৫ জন দেখেছেন

তরিকুল ইসলাম রুবেল স্টাফ রিপোর্টার

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় ছেলেধরা সন্দেহে গন পিটনিতে শামচুল মোল্লা (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

১৬ এপ্রিল রবিবার রাত সাড়ে ৭ টার সময় পুখুরিয়া বাস স্ট্যান্ডে জনতার প্রকাশ্যে ছেলেধরা সন্দেহে গনপিটনিতে শামচুল মোল্লা মারা যায়। নিহতের বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদাহ ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে।তার বাবার নাম মৃত বারেক মোল্লা।স্থানীয় লোকজন জানান নাজিরপর গ্রামের খায়রুল মীর ও ছেলে (৭) তার নানা বাড়ি পার্শ্ববর্তী নগরকান্দা উপজেলার চুকাইড় গ্রাম থেকে পুখুরিয়া বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছায় এবং দোকানে সদাই কিনতে সময় শামচুল মোল্লা তার পাশে থেকে হাতধরায় তারা ছেলেধরা হিসেবে সন্দেহ করে লোকজন জোগাড় করে মারপিটের জন্য ধাওয়া করে।জীবন বাচাতে দৌড়ে গিয়ে পুখুরিয়া বাস স্ট্যান্ড ব্রীজের পাশে কিরন এর সেলুন ঘরে প্রেবেশ করে।সেলুনে প্রবেশ করেও শেষ রক্ষা পাইনি শামচুল মোল্লার।সেলুন মালিক কিরন মোল্লা বলেন এক থেকে দেড়শো লোক হবে তার ধাওয়া দিলে দৌড়িয়ে লোকটি আমার ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং সে সকল লোকজন তাকে ধরে নিয়ে রাস্তার উপর এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুত্ব আহত করে, পরে জানতে পারছি সে মারা গেছে। লোকজনের সম্মুখে পিটিয়ে হত্যা করলেও এবিষয়ে কেউ মুখ খুলছেনা।সুত্রে জানা যায় নাজিরপুর গ্রামের খায়রুল মীর,বক্কার মীর,আক্তার মীর ও পুখুরিয়া মেসার্স মীম আলিফ সাপ্লাইয়ার হার্ডওয়ার দোকান মালিক রুহুল আমিন এর নেতৃত্বে দেড় শতাধিক মানুষ ছেলেধরা সন্দেহে শামচুল মোল্লাকে গনপিটনি দিলে ও ক্যাচি ঢুকিয়ে শরীরের ক্ষত করায় তার মৃত্যু হয়।নিহতের পরিবার ন্যায় বিচার দাবি জানিয়ে এই হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান।এবিষয়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়ারুল বলেন ইউডি মামলা পর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট করার জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং প্রশাসনিক সংস্থার বিভিন্ন দল তদন্ত করছে অচিরেই অপরাধীরা ধরা পড়বে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com