মোঃ লুৎফর রহমান লিটন, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে উপজেলার ফরিদপুর শাহ্পাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়াই নিজ বাড়িতে বিষাক্ত কেমিক্যাল ও রং দিয়ে অস্বাস্থাকর পরিবেশেই নকল রোবো উৎপাদন করে প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে রাতের আধারে বিভিন্ন জেলায় রোবো ডিলারের মাধ্যমে বিক্রি করে আসছে অসাধু ব্যবসায়ী শাহ আলম ।
গত রবিবার (৩০ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়নের ফরিদপুর শাহপাড়ায় নিজ বাড়িতে অল্পপুঁজিতে বেশি লাভের আশায় অর্থলোভী অসাধু, শাহ আলম অনেক গুলো নারী শ্রমিক দিয়ে বাড়ির ভিতোরে বেশ কয়েকটি ড্রাম ভর্তি পানিতে রং মিক্্র করছে এবং পাশেই একটি রুমের ভিতরে পুরুষ শ্রমিকেরা ইলেকট্রিক যন্ত্রের মাধ্যমে তৈরি করছে রোবো । রুমের ভিতরে দুর্গন্ধে ঢুকায় দায়। এমন অস্বাস্থাকর পরিবেশেই শিশুদের খুব প্রিয় নাল, নীন, হলুদ,ও সাদা কালারের নকল রোবো তৈরি হচ্ছে । ডিলারের মাধ্যমে এসব নকল ও ভেজাল খাদ্য শিশুদের হাতে তুলে দিচ্ছেন।
অভিভাবকরাও জানেন না, তারা শিশুদের কী খাওয়াচ্ছেন, বিষাক্ত কেমিক্যাল ও রং দিয়ে অস্বাস্থাকর পরিবেশে তৈরি রোবো পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ছে এমনকি শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। একই সাথে বিভিন্ন প্রকার শিশু খাদ্য উৎপাদনে রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগের ফলে শিশুস্বাস্থ্যের হুমকির মুখে পরেছে।
যেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে শিশু খাদ্য। আসল আর নকলের গায়ে একই লেভেল। সেজন্য চেনাও কঠিন। আসল পণ্যের পাশাপাশি নকল এসব ভেজাল খাদ্য ছড়িয়ে পড়ছে বাজারে। এতে দারুণ দুশ্চিন্তায় এবং শিশুদের পছন্দের খাবার কিনতে গিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন অভিভাবকরা।
চিকিৎসক ও গবেষকদের ভাষ্যমতে, খাবারে ক্ষতিকারক রঙের ব্যবহার, কীটনাশক ইত্যাদির কারণে শিশুর কিডনি ও লিভারসহ যেসব জায়গায় বেশি রক্ত চলাচল করে সেসব অঙ্গ সরাসরি ক্ষতি গস্ত হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে। এর বাইরে পেটের পীড়া, পেটে ঘা, আলসার, চর্মরোগ ইত্যাদি প্রভাব তো খুব বেশি দেখা যাচ্ছে।
ভেজাল শিশুখাদ্য উৎপাদনের বিষয়ে কারখানার মালিক শাহ আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কোন অনুমোধন নাই, আমি প্রশাসনকে মেনেজ করেই রোবো তৈরি করি। আমার এখানে কোন প্রশাসন আসবে না, সে কাজ আগেই সেরে ফেলেছি।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মন্ডল বলেন, ভেজাল ও নিম্নমানের শিশু খাদ্যে উৎপাদন ও বাজারজাত করার বিষয়টা জেনেছি এবং বিএসটিআই কে বলেছি খুব দ্ররুতই রোব কারখানার বিষয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।