বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১১:১১ পূর্বাহ্ন

বগুড়ায় জাকির হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রতারক চক্রের ৪জন গ্রেফতার

সাংবাদিকের নাম:
  • আপডেট সময় : রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২২
  • ২৬২ জন দেখেছেন

বগুড়ায় একটি চক্রের দুই নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। প্রথমে বিভিন্ন জনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলত তারা। এর পর তাদের ডেকে এনে কৌশলে আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও ধারণ করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিত তারা। বগুড়ায় এ রকমই একটি চক্রের দুই নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এই চক্রটি অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জাকির হোসেন হত্যাকাণ্ডেও জড়িত বলে জানিয়েছেন র‍্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার তৌহিদুল মবিন খান। রোববার ০৯ অক্টোবর দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার গণ্ডগ্রাম এলাকার আবুল খায়েরের মেয়ে সোমা আক্তার লিয়া(২৫), একই উপজেলার লতিফপুর এলাকার মৃত লয়া মণ্ডলের ছেলে তাইজুল ইসলাম(২৮), নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা এলাকার আঃ রউফের মেয়ে রোফা আক্তার রোপা(২০) এবং গাবতলী উপজেলার কালাইহাটা এলাকার আবু তালেবের ছেলে আঃ রাজ্জাক(৩২)। এদের সবাইকে শনিবার রাতে বগুড়ার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে জাকির হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রতারক চক্রের আরও দুই সদস্য আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশা এবং মোস্তফা কামাল ওরফে কমলকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা(ডিবি)। গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় খুন হন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাথিয়াখালী গ্রামের জাকির হোসেন(৪৫)। তিনি শহরের শাকপালা ক্যান্টনমেন্টপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন। ২০১৪ সালে ল্যান্স করপোরাল হিসেবে সেনাবাহিনী থেকে তিনি অবসরে যান। কোম্পানী কমান্ডার তৌহিদুল মবিন খান বলেন,’ একটি প্রতারক চক্র নারী সদস্য সোমার মাধ্যমে জাকিরের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে। সেই সূত্র ধরে সোমা শুক্রবার সন্ধ্যায় জাকিরকে কৈগাড়ী জবান স্কুলের পাশের একটি ভাড়া বাসায় ডেকে নেন। এরপর তারা মুঠোফোনের মাধ্যমে কৌশলে চক্রের অন্য সদস্যদের রুমের ভেতরে আসতে বলেন। তারা রুমে এসে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ তুলে জাকিরকে হুমকি দেন। সে সময় জাকিরের কাছ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা ও পরে বিকাশের মাধ্যমে আরও ১০ হাজার টাকা নেয় তারা। পরে তারা জাকিরকে ফুলতলা মোড়ে নিয়ে আসে। তখন জাকির পালানোর চেষ্টা করলে আশরাফুল পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় জাকিরকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’ ‘ওইদিন রাতেই নিহত জাকিরের স্ত্রী মমতাজ বেগম অজ্ঞাতদের আসামি করে শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন। মামলার পর জেলা গোয়েন্দা ও শাজাহানপুর থানা পুলিশ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দুই আসামি আশা ও কমলকে চাকুসহ গ্রেফতার করে। পরে র‍্যাবের অভিযানে ওই চক্রের দুই নারীসহ আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে গ্রেফতারকৃতরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে নারী সদস্যদের দিয়ে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যক্তিদের টার্গেট করে সখ্য গড়ে তুলে বাসাবাড়িতে ডেকে নিতেন। এরপর ওই ব্যক্তির সঙ্গে নারী সদস্যের ঘনিষ্ঠ হওয়ার আপত্তিকর ছবি তুলে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন। এই চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে র‍্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com