বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১২:১৪ অপরাহ্ন

ফরিদপুরে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

সেক মোহাম্মদ আফজাল, বিশেষ প্রতিবেদক ফরিদপুর :
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১২৯ জন দেখেছেন

সেক মোহাম্মদ আফজাল, বিশেষ প্রতিবেদক ফরিদপুর :

 

ফরিদপুরে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে এই পেঁয়াজের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ মেট্রিক টন। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজের আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এই পেঁয়াজ বাজারে পৌঁছাবে বলে আশাবাদী কৃষকরা।

দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনে ফরিদপুরের অবস্থান দ্বিতীয়। এ অঞ্চলের মাটি ও জলবায়ু পেঁয়াজ আবাদের জন্য উপযোগী। বর্তমানে এ জেলায় হালি, দানা এবং মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরকারি হিসাব অনুযায়ী প্রতি হেক্টর জমিতে ১৮ থেকে ২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে। চলতি মৌসুমে জেলায় ৫ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ হচ্ছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ মেট্রিক টনের বেশি।

ফরিদপুর সদরের পেঁয়াজ চাষি মোঃ হানিফ মিয়া জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের উৎপাদন খরচও বেশি। তবে, কৃষক পর্যায়ে বাজারদর প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা হলে লাভ করা সম্ভব।

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার এক পেঁয়াজ চাষী জগদীশ বসাক এবং সালথা এলাকার পেঁয়াজ চাষি আলমগীর হোসেন জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষকরা ক্ষেত প্রস্তুত করেছেন মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদের জন্য। আশা করছি ফলন ভালো হবে।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন এ অঞ্চলের মাটি পেঁয়াজ চাষে জন্য উপযুক্ত। এ জেলায় বছরে তিন প্রকারের পেঁয়াজের আবাদ হয় শীতকালে শুধু ফরিদপুর অঞ্চলেই পেঁয়াজের আবাদ হয়ে থাকে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে চাষিরা মুড়িকাটা (গুটি) সংগ্রহ করে ক্ষেতে রোপণ করেন। ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ক্ষেত থেকে ফসল ঘরে তোলা সম্ভব।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com