শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:০২ অপরাহ্ন

নলকা ইউনিয়নে ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যর আনিছার রহমানের কর্মসূচির বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

মোঃ লুৎফর রহমান লিটন,সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ৪৬ জন দেখেছেন

মোঃ লুৎফর রহমান লিটন,সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

রায়গন্জে নলকা ইউনিয়নের কর্মসৃজন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকার ৪০ দিনের এ কর্মসূচিতে হতদরিদ্রদের কাজের সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু নলকা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে একটি প্রকল্পে ১৮ জন শ্রমিকের পরিবর্তে কাজ করানো হচ্ছে ১০ জন শ্রমিক দিয়ে ও ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য আনিছার রহমানের বিরুদ্ধে প্রকল্পে কাজ দিতে জন প্রতি ৫ হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৪ নং ওয়ার্ডের কর্মসূচির লেবার দিয়ে আনিছার রহমান তার নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় মাটি ভরাট করছে। ১৮ জন লেবার থাকার কথা থাকলেও উপস্থিত পাওয়া যায় ১০ জন বাকি ৮ জন অনউপস্থিত। এসময় লেবারদের মধ্য অনেকেই জানাই প্রকল্পের কাজ দিতে আনিছার রহমান মেম্বরকে দিয়েছেন জন প্রতি ৫ হাজার টাকা করে।
আব্দুল নামের এক শ্রমিক জানান, কাজ নেওয়ার সময় আমি ৩ হাজার টাকা দেয় এখন আরো ২ হাজার টাকা দাবি করেছে মেম্বর এখন ২ হাজার না দিলে পরবর্তী প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়ার কথা জানিয়েছে। টাকা না দিলে কাজ মেলে না সবাই মেম্বারকে টাকা দিয়েই কাজ নিয়েছে।
নলকা ইউনিয়নের ফরিদপুর আদর্শ গ্রামের নুর ইসলামের স্ত্রী ইছাতন খাতুন ও জানান, কাজ নেওয়ার আগে তিনিও আনিছার রহমানকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে কাজ নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে কয়েকজন জানান, আমরা প্রাথমিক ভাবে চেয়ারম্যানকে জানিয়েছিলাম চেয়ারম্যান মেম্বরকে নিষেধ ও করেছিলো কিন্তু টাকা না দিলে মেম্বর কাজে নেয় না তাই বাধ্য হয়েই টাকা দিয়েছে।
এ বিষয়ে নলকা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনিছার রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার লেবার দিয়ে যেখানে খুশি কাজ করাব । টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১০ হাজার করে জনপ্রতি নিয়েছি আরো নেব তাতে আপনাদের কি?

নলকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, টাকা নেওয়ার বিষয় আমার জানা নেই। কোন লেবার যদি অভিযোগ করে আমি ব্যবস্থা নেব।

রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানি জানান, বিষয়টি আমার জানানেই, লেবার দিয়ে যদি কোন সদস্য নিজ বাড়িতে কাজ করায় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। জন প্রতি ৫ হাজার টাকা করে নেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, লেবাররা যদি অভিযোগ করে তাহলে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করব।

রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কনা মন্ডল বলেন, কোন ইউপি সদস্য যদি হতদরিদ্রের কর্মসূচীর কাজে অনিয়ম করে ও কাজ দিতে কোন টাকা পয়সা নিয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মোঃ লুৎফর রহমান লিটন
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
রায়গন্জে নলকা ইউনিয়নের কর্মসৃজন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকার ৪০ দিনের এ কর্মসূচিতে হতদরিদ্রদের কাজের সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু নলকা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে একটি প্রকল্পে ১৮ জন শ্রমিকের পরিবর্তে কাজ করানো হচ্ছে ১০ জন শ্রমিক দিয়ে ও ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য আনিছার রহমানের বিরুদ্ধে প্রকল্পে কাজ দিতে জন প্রতি ৫ হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৪ নং ওয়ার্ডের কর্মসূচির লেবার দিয়ে আনিছার রহমান তার নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় মাটি ভরাট করছে। ১৮ জন লেবার থাকার কথা থাকলেও উপস্থিত পাওয়া যায় ১০ জন বাকি ৮ জন অনউপস্থিত। এসময় লেবারদের মধ্য অনেকেই জানাই প্রকল্পের কাজ দিতে আনিছার রহমান মেম্বরকে দিয়েছেন জন প্রতি ৫ হাজার টাকা করে।
আব্দুল নামের এক শ্রমিক জানান, কাজ নেওয়ার সময় আমি ৩ হাজার টাকা দেয় এখন আরো ২ হাজার টাকা দাবি করেছে মেম্বর এখন ২ হাজার না দিলে পরবর্তী প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়ার কথা জানিয়েছে। টাকা না দিলে কাজ মেলে না সবাই মেম্বারকে টাকা দিয়েই কাজ নিয়েছে।
নলকা ইউনিয়নের ফরিদপুর আদর্শ গ্রামের নুর ইসলামের স্ত্রী ইছাতন খাতুন ও জানান, কাজ নেওয়ার আগে তিনিও আনিছার রহমানকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে কাজ নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে কয়েকজন জানান, আমরা প্রাথমিক ভাবে চেয়ারম্যানকে জানিয়েছিলাম চেয়ারম্যান মেম্বরকে নিষেধ ও করেছিলো কিন্তু টাকা না দিলে মেম্বর কাজে নেয় না তাই বাধ্য হয়েই টাকা দিয়েছে।
এ বিষয়ে নলকা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনিছার রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার লেবার দিয়ে যেখানে খুশি কাজ করাব । টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১০ হাজার করে জনপ্রতি নিয়েছি আরো নেব তাতে আপনাদের কি?

নলকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, টাকা নেওয়ার বিষয় আমার জানা নেই। কোন লেবার যদি অভিযোগ করে আমি ব্যবস্থা নেব।

রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানি জানান, বিষয়টি আমার জানানেই, লেবার দিয়ে যদি কোন সদস্য নিজ বাড়িতে কাজ করায় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। জন প্রতি ৫ হাজার টাকা করে নেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, লেবাররা যদি অভিযোগ করে তাহলে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করব।

রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কনা মন্ডল বলেন, কোন ইউপি সদস্য যদি হতদরিদ্রের কর্মসূচীর কাজে অনিয়ম করে ও কাজ দিতে কোন টাকা পয়সা নিয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com