বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন

দায়িত্ব পালনে নিক্রয়তা নানা প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী

সাংবাদিকের নাম:
  • আপডেট সময় : রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ৬১ জন দেখেছেন

 

মোহাম্মদ মাসুদ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

চট্টগ্রাম: ছিনতাইকারী ঝাপটাবাজ পটেকমার হতে সাবধান! সতর্ক সাবধান থেকেও শেষ রক্ষা হয়-নি। দিনদিন নগরীতে বাড়ছে নানা অঘটন ঝুঁকিঝামেলা সিমাহীন।চলার পথে পদেপদে নিরাপত্তাহীনতায় নগরবাসী। বর্তমান অধুনিকায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তির যুগে প্রতিটি মুহূর্ত মানুষ এখন তথ্য সংরক্ষণ ও যাবতীয় তথ্যাদিসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে মোবাইল নির্ভরশীল।বাড়ছে মোবাইল নির্ভশীলতা দিনিদন। মোবাইল ছাড়া এক মুহূর্তও চলা অসম্ভব। টাকা পয়সার পাশাপাশি মোবাইল নিরাপত্তায় চরম ঝুঁকিতে ভুক্তভোগী ও জনসাধারণ।
.

ঘটনাক্রমে সাংবাদিকের একসাথে ২টি মোবাইল পটেকমারের ফাঁদে পড়ে!পকেটমারেরা ছিল ছদ্মবেশী ভদ্রবেশী যাত্রীবেশে মিশে। কখনো ঝাঁপটাবাজ কখনো ছিনতাইকারী নানা অঘটনের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় পরিকল্পিত সুকৌশলে। তাদের হাত থেকে চলার পথে সাধারণ বা কেউ-ই আর নিরাপদ নয়! বাস্তবে মাঝে মধ্যে জননিরাপত্তায় প্রশাসনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। যা ক্ষেত্র বিশেষ প্রয়োজনের তুলনায় তুচ্ছ অতি সামান্য।
.

প্রশাসনের দায়িত্বে কর্তব্যে প্রয়োজনীয় শুধুমাত্র ভুমিকা পালনে লোকদেখানোর সক্রিয়তা দেখা যায়। সিংহভাগ ভুমিকায় অনেকটাই দেখা যায় নিরব গাফিলতি অবহেলা। দায়িত্ব পালনে নিক্রয়তা নানা প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে। আইন শৃঙ্খলা প্রশাসন জননিরাপত্তায় ভুমিকায় জনবান্ধন নয়। যার প্রমাণ ভুক্তভোগীরাই টের পায় হারে হারে।
সমাধান বিচারের আশায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর দ্বারে দ্বারে ঘোরপাক খেতে হয় নানা প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে। আইনি দীর্ঘমেয়াদী ধারাবাহিক গল্পের উপন্যাসের তিক্ত অভিজ্ঞতার চিত্ররূপ ইতিহাসে।
.

বলছিলাম ঝাঁপটাবাজ,চুরি,ছিনতাই,মলমপার্টি,
অজ্ঞানপার্টি’সহ নানা কুচক্রের আতংকে সর্দায় আতংকিত নগরবাসী।সেইসাথে বেড়েছে চিনতাই ঝাঁপটাবাজ পকেটমারে দৌরাত্মা ।এসব পকেটমারের ছোবলের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কেউ-ই। সাংবাদিক,প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্বশীল, ভিন্ন পেশাজীবি’সহ সাধারণত মানুষ সকলেই যত্রতত্র পড়ছে চিনতাই ঝাঁপটাবাজ পকেটমারের ছোবলে। কখনো প্রকাশ্য নিরবে নিভৃতে প্রতিনিয়ত ভুক্তভোগী হচ্ছে অনেকেই।

.

শুধু সাধারন নয়,সাংবাদিকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকল্পিত মোবাইলসহ ঝাঁপটাবাজ পটেকমারের ফাঁদে! পরিস্থিতিতে সাধারণ কেউ-ই নিরাপদ নয়! প্রশাসন নিরব! বিষয়টি স্পর্শকাতর ও অবিশ্বাস্য! গল্প সিনেমা নাটক নয় বাস্তবেও সত্য।সাংবাদিক নিজেই পরিস্থিতি শিকার। নিজেই ভুক্তভোগী।

.

আমার পেশাগত কাজের দুইটি মোবাইল পটেকমার হলেও ছিনতাইকারীর চেয়ে ভয়ানক কায়দায় সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়। সাবধান সতর্ক থাকার পরওে ভদ্রছদ্মবেশী পকেটমার এর ফাঁদে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সকলের সবরকম সহায়তা ও সুদৃষ্টি আশা করছি।

গতকাল ১০ফেব্রুয়ারি,বিকাল সাড়ে ৫টায়। কোতোয়ালি থানা,৩নং বাস হতে। কাজির দেউড়ি এলাকা থেকে পূর্ব পরিকল্পিত কৌশলে চোখের পলকে দুইটি মোবাইল ব্যাগ থেকে নিয়ে নেয়।
কোতয়ালি থানা-১০/১০/২৪ইং,জিডি নং-১০৩৫।জিডি ট্র্যকিং নং-8ATGYX.
.

ঘটনাক্রমে, “দৈনিক দেশের কথা” পত্রিকার মোহাম্মদ মাসুদ,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার এর ২টি মোবাইল হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগীর জানায়,আমার মোবাইল ২টি আগে থেকেই পকেটমার চক্র ফলো করে। ৬/৭জন পকেটমার সিন্ডিকেট কর্তৃক মোবাইল দুইটি আগে দেখে। আমাকে নজরে রাখে। কিছু বুঝে উঠার আগেই সুকৌশলে চোখের পলকে ২টি মোবাইল হতিয়ে নেই।

আমি পূর্ব পরিকল্পিত ছিনতায় চক্রের ও চোর চক্রের ফাঁদে পড়েছি। অতচ,তাদের বেশবুশায় কিছুই বুঝতে পারলাম না। তারা মুহুর্তে মুহুর্তে অপরাধের ধরন পাল্টায়।ভুক্তভোগীরা নির্মম করুণ উদ্ভুদ পরিস্থিতির শিকার। যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমার মতো আরো অনেকেই শিকার। পথেঘাটে চলাচলে যানবাহনে বিন্দুমাত্র নিরাপত্তা নেই। গন-পরিবহন এ বাস কর্মচারী থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের অপক্ষমতা ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে যায় এসব অপরাধীরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার নাগালের বাহিরে।
.

আাস্তবে নানা অঘটনে নিরাপত্তাঝুঁকিতে চরম বিষাদ তিক্ত অভিজ্ঞতায় সাধারণ জনসাধারণ। প্রতিনিয়তই ঘটছে এমন অঘটন। শত অঘটনেও করেও অনেক ক্ষেত্রে অভিযুক্ত হয়েও ও এসব অপরাধীরা সুকৌশলে হাতিয়ে নেয় কখনো টাকা কখনো মোবাইল সুযোগ পেলে ভুক্তভোগীদের সবকিছুই।
.

সমাধানে কিছুই যেন কারোই করার নেই। ভুক্তভোগী জনসাধারণ আইন প্রশাসন সকলেই জানেন এর নেপথ্যে কাহিনী। আসল ঘটনায় সত্যতা নিশ্চিত বাস্তবতায় কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। আমার মতো ভুক্তভোগীদের কতটা নিষ্ঠুরতা ও অনুকূলতার তিক্ত অভিজ্ঞতায় পূর্ণ।

পেশাগত কারণে গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে সবসময়ই সজাগ সচেতন থাকি সবকিছুতেই। কিন্তু তারপরেও বিশ্বাস হচ্ছে না আমার এমন অঘটন কি করে কেমনে হইল। হলাম অপূনীয় ক্ষয়ক্ষতির শিকার। ২টি মোবাইল ৮/১২৮ সেট মেমোরি ও আরো অতিরিক্ত মেমোরি কার্ডে ফুল ছিল ডকুমেন্টসে পূর্ণ ছিল। যা পেশাগত কাজের অতি প্রয়োজনীয় গুরুত্বপপূর্ণ। বিশেষ দরকারী জরুরি ডকুমেন্টস।এক অবিশ্বাস্য অদ্ভুদ পরিনিতি ভারসাম্যহীন পরিস্থিতি শিকার কি করে হলাম নিজে? বুঝতে পারলাম না কিছুতেই কোন কিছু।

.

তেমনি মানসিক বিপর্যয় ও মনকষ্ট পেলাম অনেক। শত কোটি প্রশ্ন জাগে মনে।ভুক্তভোগীদের কথায় শুনেছি আইনের সেবা সুবিধা পেতে ভোগান্তি হয়রানীর শিকার হতে হয়।
বাস্তবে পরিণতিতে আমি নিজেও তা উপলব্ধি করেছি হারে হারে। প্রসানের গাফিলতি অবহেলায় নিষ্ক্রিয়াতায়। থানায় সরাসরি উপস্থিত হয়ে ঘন্টাখানেক সময় ব্যায়ের পর শেষ হয় অভিযোগ। ধারাবাহিক অফিসিয়াল অভিযোগের রিসিভ কপি হাতে আসে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অভিযোগ করলেও রাত ১১টায় এসআই জানেনা ঘটনার বিষয়ে কোন কিছুই।

.

থানায় উপস্থিত হয়ে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত সবকিছুই বলেছে ভুক্তভোগী নিজেই। কিন্তু অভিযোগ মামলা না নিয়ে নিল সাধারণ ডায়েরি।
কেন তা করলো উপলব্ধি করতে পারছি না।
যা হওয়ার তাই হলো।তা-ই-ই-তো-হবে।রয়ে যাবে কিছু কালোছায়ায় বিষাদ স্মৃতি। ধরি মাছ না ছুই পানি।এপর্যন্ত কোন আশ্বাস সারা কিছুই পাইনি। সবাই হল কপাল। বাস্তবরূপে এমনই হয় ভুক্তভোগী সবারই হাল। এমন সরেজমিনে আমার মতোই ভুক্তভোগী অনেকেই। এ-সব আপত্তি অভিযোগ রয়ে যায় তদন্তের নামে দীর্ঘ সময়ের ফাঁদে।গতকালে ঘটনা এখন পর্যন্ত কেউই-ই জানেন কিছু-ই।
.

সকলের মতো আমিও পেলাম নিয়মিত প্রাপ্য আইনী নাগরিক অধিকার। দায়িত্ব পালনের জটিলতায় দায়িত্বহীনতা অবহেলার অনিশ্চিত সময় সমাধানের খপ্পরে। দীর্ঘমেয়াদের সু-খবরের ফাঁকে।

আজ ঘটবার পরদিন ১১ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টায় অফিসার ইনচার্জ এস.এম. ওবায়দুল হক উক্ত বিষয় এ কিছুই জানেন না কোন কিছুই। জিডি নম্বর-১০৩৫ ও তদন্ত অফিসার এএসআই মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এর কথা বললাম। ঘটনার বিষয় এ জানালাম। কিন্তু আমার সাথে কথা বলারও সময়ও নাই তিনির খুবই ব্যাস্ত। জিডি কপি পাঠতে বলেন তিনি আমাকে।

ডিউটি অফিসার এসআই জয়শ্রী বলেন,তদন্ত অফিসার ওনি বিষয়টা জানবেন না। কারণ আজকে জানবেন। সময় দিতে হবে আমাদের । আমি এএসআই মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন’কে বলে দিচ্ছি। আপনি তার সাথে কথা বলেন।

সবই ছিল কপালে কেন রাস্তায় বের হলাম।কেন গন পরিবহন বাসে উঠতে গেলাম। তার-ই মাশুলের ফলাফল। এমন অঘটন ঝুঁকি ও মনকষ্টে তীব্র মানসিক বিপর্যয় যন্ত্রণায় ছটফট করছেন আমার ভুক্তভোগী অনেকেই। সকলের দীর্ঘায়ু শুভ কামনায়। মোহাম্মদ মাসুদ,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,দৈনিক দেশের কথা

প্রশ্ন সাধারণত মানুষের কি অবস্থা? বাস্তবে পরিস্থিতিতে কতটা নিরাপদ কতটা ঝুঁকিতে?

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com