শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন

তানোরে আসামীদের হুমকিতে বাদির পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়

মমিনুল ইসলাম মুন বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ৯৮ জন দেখেছেন

মমিনুল ইসলাম মুন বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি :

 

রাজশাহীর তানোরে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামিরা আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে প্রকশ্যে চলাফেরা ও বাদির পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। তাদের অব্যাহত হুমকি-ধমকিতে বাদি পরিবারসহ চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি)

মহাদেবপুর সরদারপাড়া গ্রামে এই এঘটনা ঘটেছে। বিএনপি নেতা গোলাম আজমের নেতৃত্বে এসব করা হচ্ছে। তিনি বহিরাগতদের নিয়ে দিলরুবার বাড়িতে আস্থানা গড়ে তুলেছেন। গোলাম আজমের নেপথ্যে মদদে দিলরুবার বাড়িতে প্রতি রাতে বসে আসর।

জানা গেছে উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) মহাদেবপুর মৌজায় মৃত জানু মন্ডল ওরফে জানিপ মন্ডলের ১৮ বিঘা জমি  পুত্র আতাউর ও বাক্কারকে ওছিয়তনামা দলিল রেজিষ্ট্রি করে দেন। এই ১৮ বিঘা জমির মধ্যে তারা তিন বোনকে সমান ভাবে ৬ বিঘা জমি দেয়। বাঁকি ১২  বিঘা জমি তারা দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে শান্তিপুর্ণভাবে ভোগ দখল করছেন। এমতাবস্থায় মৃত জানু মন্ডলের অপর স্ত্রীর সন্তান ইয়াকুবের পুত্র গোলম আজম ও খোকন ওই জমি নিজেদের বলে দাবি করে গত ১৬ ডিসেম্বর দেশীয় অস্ত্রে  সজ্জিত হয়ে লাঠিয়াল ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে দখল করতে যায়। এ সময় আলুর জমিতে পরিচর্যা করছিলেন প্রকৃত মালিক বাক্কার তিনি বাধাদেন। এতে তারা

তাকে হাসুয়া দিয়ে মাথায় ও গালে  কোপ দেয় ও লোহার রড দিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়। তার স্ত্রী তাকে উদ্ধারে আসলে তাকেও কোপ দেয়। এসময় তাদের চিৎকারে  গ্রামবাসী এসে তাদের উদ্ধার ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তারা এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে বাড়িতে আসেন। এঘটনায় থানায় অভিযোগ হলেও গোলাম আজম খোকন প্রভাবশালী হওয়ায় থানা মামলা নেয়নি। বাধ্য হয়ে আতাউর রহমান বাদী হয়ে গোলাম আজম ও   খোকনসহ ১২ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত  আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্ত্ত অজ্ঞাত কারণে পুলিশ এখানো আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি।

গ্রামবাসী জানায়, কামারগাঁ ইউপির সাবেক সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড সদস্য দিলরুবার বাড়িতে বহিরাগতরা আশ্রয় নিয়ে ককটেল ফাটিয়ে অস্ত্র নিয়ে জমি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলকার অপরিচিত লোকজনের আস্তানা তার বাড়ি। তার নাকি প্রশাসনের উপর মহলে হাত আছে। এজন্য হাজারো কিছু করলে পুলিশ তাকে ধরবে না বলে দাপট দেখায়।

আহত বাক্কার জানান, তাদের পিতা ওছিয়ত করেছে ও আদালতের এভিডেভিট করা আছে। তারপরও শুধু ক্ষমতার জোরে আমাদেরকে মেরেছে। মামলা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর থেকে তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে। আজম ও খোকন শহরে থাকে, আমাদেরকে আদালতে দেখলে মেরে ফেলবে। এদিকে দিলরুবাও অপরিচিত লোকজন এনে নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। তিনি আরো জানান, তার স্ত্রী এবং স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া মেয়েকেও মারধর করেছে। দিনের বেলায় সবকিছু প্রকাশ্যে করছেন। মামলার বাদি আতাউর জানান, আসামীরা দিনের বেলায় প্রকাশ্যে দাপটের সাথে চলাফেরা করলেও আটক করছেনা পুলিশ। আমরা পরিবার নিয়ে চরম আতংকে দিন পার করছি। আসামীদের গ্রেফতার না করলে যে কোন সময় আমাদের উপর হামলা করবে। যে ভাবেই হোক জমি দখল নিবেই।প্রভেটের আবেদন করে ২০০৮ সালে, এরপ্রেক্ষিতে  ২০০৯ সালে আদালত প্রভেট করে দেয়। এর বিরুদ্ধে গোলম আজম মিসকেস করে, দীর্ঘ দিন পর আবেদন করলে আদালত ২ হাজার টাকা জরিমানা নিয়ে আমলে নেয়। এর শুনানি আগামী জুন মাসের ২৩ তারিখে দিন ধার্য আছে। কিন্তু এর আগেই তারা জোরপূর্বক জমি দখল নিতে উঠেপড়ে লেগেছে। ইউপি সদস্য তোফায়েল জানান, কাগজ যার জমি তার, আমি যতটুকু জানি আতাউর ও বাক্কারের জমি দখল নিতে গোলম আজম ও হাবিবুর রহমান খোকন রা বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে এবং হাত ভেঙ্গে দেয়। আমি চাই বয়োজ্যেষ্ঠ আপন চাচা চাচী কে এভাবে মারা অন্যায়, দ্রুত তাদের আটক করা হোক। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাসির উদ্দিন জানান, আসামীরা পলাতক আছে বলে দায় সারেন। ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, আসামীরা পলাতক গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com