মোস্তফা প্রামানিক, স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঝিনাইগাতী থানার এস,আই ফরিদ আহমেদ এর চ্যালেন্জে পুলিশের ওসি পরিচয়ে প্রতারণার সময় আনছার আলী উরফে জাহাঙ্গীর (৪৫) নামে এক ভূয়া ওসিকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ।
আনছার আলী শেরপুর সদর থানার কুঠুরাকান্দা ছনকান্দা গ্রামের উমেদ আলীর ছেলে। ঝিনাইগাতী থানার কাংশা বাজার এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার বাদীর সাথে প্রতারণাকালে তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ফরিদ আহমেদ।
উল্লেখ্য গত ৬ অক্টোবর বিকেলে কাংশা বাজার এলাকায় মোটরসাইকেল আটকিয়ে ঈমান আলী উরফে ফেকাসু (৩৫) নামের একজনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। একটি খাস জমির দখল নিয়ে পূর্ব থেকে চলে আসা বিরোধকে কেন্দ্র করে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এজাহার নামিয় ৮ আসামিকে গ্রেফতার করে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ। ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেপ্তার এড়াতে অধিকাংশ লোক পলাতক রয়েছেন।
ওই মামলার বাদীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আনছার আলী গত ক’দিন পূর্বে ওই হত্যা মামলার বাদীর বাড়িতে এসে নিজেকে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার ওসি তদন্ত বলে পরিচয় দেয়। সে আরও দাবি করে, তাকে সিআইডি থেকে তার মামলাটি গোপন তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি একাই অতি গোপনে মামলাটি তদন্ত করবেন।
তার বিষয়ে পুলিশ সহ কারো কাছে কিছু জানাতে নিষেধ করে। তার সাথে সব বিষয়ে গোপনে যোগাযোগ রাখতে এবং তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে বলা হয়। ইতিমধ্যে একাধিকবার সে বাদীর বাড়িতে এসে তাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। বুধবার রাতে এসআই ফরিদ আহমেদ মামলার তদন্ত কাজে ওই এলাকায় গিয়ে অপরিচিত আনছার আলীকে অটোতে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাকে চ্যালেঞ্জ করেন। এতেই তার পরিচয় সহ প্রতারণার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুল আলম ভূইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আনছার আলী উরফে জাহাঙ্গীর নামের ওই ব্যক্তি প্রতারণার উদ্দেশ্যে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার বাদী সহ অপরাপরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে আসছিল।
তাকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।