চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় মো: আলী হোসেন ডালিম (৫০) নামে এক ব্রিকস ফিল্ড মালিকের উপর হামলা করেছে এলাকার কতিপয় মাদকসেবী। এ সময় হামলাকারীরা ভুক্তভোগির সাথে থাকা ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের বাবুচি এলাকার হোটেল বাইপাসের সামনে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি আলী হোসেন ডালিম দুইজনের নাম উল্লেখ করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলার সত্যতা পেয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের ধনুসাড়া গ্রামের মৃত রফিক মিয়ার ছেলে শাহআলম ও একই গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আবুল খায়ের দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। উভয়ে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে সঙ্গীদের নিয়ে মাদক সেবন করতো। গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে একাত্বতা পোষন করে তাদের এসব কাজে বাধা প্রদান করেন স্থানীয় খাদিজা ব্রিকস ফিল্ড এর মালিক আলী হোসেন ডালিম। বিষয়টি নিয়ে শাহআলম ও আবুল খায়ের ক্ষিপ্ত হয় এবং বিভিন্ন সময় তাকে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করে। গত বুধবার (১১ অক্টোবর) রাত সাড়ে আটটায় আলী হোসেন ডালিম ব্যক্তিগত কাজে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাবুচি এলাকায় হোটেল বাইপাসের সামনে যান। হামলাকারী শাহআলম ও আবুল খায়ের সেখানে আগে থেকেই ছিলেন। ডালিমকে দেখে শাহআলম ও আবুল খায়ের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অকথ্য ভাষায় গালমন্দ শুরু করে। গালমন্দ করতে নিষেধ করায় তারা ডালিমের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীদের এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসিতে ডালিম নীলাফুলা জখমি ও মাথায় রক্তাক্ত আহত হন। একপর্যায়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা তার সাথে থাকা ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এবং আহত ডালিমকে চিকিৎসা দেয়। ডালিমের মাথার আঘাত গুরুতর হওয়ায় সেখানে চার-পাঁচটি সেলাই লাগে। চিকিৎসা গ্রহণের পর ভুক্তভোগি আলী হোসেন ডালিম বুধবার রাতেই শাহআলম ও আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগি আলী হোসেন ডালিম জানান, ‘মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় শাহআলম ও আবুল খায়ের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার উপর অতর্কিত হামলা করে। থানায় অভিযোগ দেয়ার পর তারা এখনো আমাকে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমি থানা প্রশাসনের নিকট এ হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।’
অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’