শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৭:১৩ অপরাহ্ন

চৌদ্দগ্রামে তুচ্ছ ঘটনায় বাড়ীঘরে দফায় দফায় হামলা-ভাংচুর, আহত ৫

সাংবাদিকের নাম:
  • আপডেট সময় : রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৮৮ জন দেখেছেন

মুহা.ফখরুদ্দীন ইমন,চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কনকাপৈত ইউনিয়নের কোমারডোগা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত শুক্রবার রাত নয়টায় ও পরদিন সকাল সাড়ে নয়টায় দফায় দফায় বাড়ীঘরে হামলা-ভাংচুর এর ঘটনা ঘটেছে। হামলায় ১ শিশু, ৩ নারী সহ কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় একটি মোটরসাইকেল সহ বাড়ীর টিনের বেড়া ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি আবুল বশর মিয়াজী শনিবার সন্ধ্যায় ৬ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের নামে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত ৯টায় ভুক্তভোগি আবুল বশর মিয়াজীর নাতি মো: জাবেদ হোসেন মিয়াজী ফাহিম তার বন্ধুদের সাথে স্থানীয় তারাশাইল বাজারে গিয়ে তার এক বন্ধুর মোবাইল মেরামত করে বাড়ী ফেরার পথে নিজ বাড়ীর সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলা অবস্থায় প্রতিবেশী আবুল কালাম পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চোর চোর বলে চিৎকার দিলে তার নিকটাত্মীয় একই গ্রামের সাহাব উদ্দিন মোল্লার ছেলে ও ভাতিজারা সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জন লোক সংঘবদ্ধ হইয়া লাঠি-সোটা সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে আবুল বশর মিয়াজীর বাড়ীঘরে হামলা চালায়। এতে বাধা দিলে হামলাকারীরা আবুল বশরের স্ত্রী সবুরা বেগম, ছোট ছেলে আমির হোসেন মিয়াজী, পুত্রবধূ রোকেয়া বেগম, নাতনি রিফা আক্তার ও শিশু নাতি ইমাম হোসেন মিয়াজী সহ পরিবারের অন্যান্য লোকদের উপর হামলা করে কাটাছেড়া, রক্তাক্ত ও নীলাফুলা জখম সহ গুরুতর আহত করে। এ সময় হামলাকারীরা বশর মিয়াজীর বসতবাড়ীর পশ্চিম পাশের টিনশেড বেড়া ও বসতঘর ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। পরে তাদের শোর-চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা চলে যায়। এ ঘটনার জেরে শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হামলাকারীরা পুনরায় একত্রিত হয়ে আবুল বশর মিয়াজীর বাড়ীঘরে হামলা চালায়। এ সময় একটি রেইঞ্জার ১০০ সিসি মোটরসাইকেল ভাংচুর কওে তারা। পরবর্তীতে বাড়ীর লোকজন ও এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। যাওয়ার সময় তারা দেখে নেয়ার হুমকি-ধমকি সহ আইনের আশ্রয় নিলে বশর মিয়াজীর পরিবারের ক্ষতিসাধন করার হুমকি দিতে থাকে। পরে পরিবারের লোকজন আহতদেরকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে। আহত আমির হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা এখনো ভুক্তভোগির পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি অব্যাহত রাখায় পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ও উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় দিনাতিপাত করছে ভুক্তভোগিরা। শনিবার ভুক্তভোগি আবুল বশর মিয়াজী ঘটনার বিচার চেয়ে প্রতিবেশী মৃত মনোহর আলীর ছেলে আবুল কালাম, সাহাব উদ্দিন মোল্লার ছেলে সাব্বির, জয়, মাহবুবুল হকের ছেলে রাহিম, রাব্বি ও একই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে হৃদয়ের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্ত আবুল কালাম বলেন, ‘বশর মিয়াজীর নাতি জাবেদ বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে আমার টিনের বেড়া ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। আমি ঘর থেকে বাহির হয়ে চিৎকার দিলে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে তাদের তাড়া করে। পরে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় সাহাব উদ্দিন মোল্লার ভাতিজা রাহিমের সাথে বশর মিয়াজীর ছোট ছেলে আমিরের সাথে বাগবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হামলার কথাটি সঠিক নয়’।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাব্বির এবং জয়ের পিতা সাহাব উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘আবুল বশর মিয়াজীর বড় ছেলে দেলোয়ার জামায়াত করে। তারা বশকরা গ্রামের কিছু সন্ত্রাসী নিয়ে এসে আমার ফুফাতো ভাই কালামের উপর হামলা করে। খবর পেয়ে আমরা সহ গ্রামবাসী মিলে সন্ত্রাসীদের তাড়া করলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কেউ আহত হওয়ার খবর আমার জানা নেই’।

এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক বিকাশ বড়–য়া বলেন, ‘ভুক্তভোগিরা থানায় অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে’।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com