শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন

অবশেষে গ্রেফতার হলেন ইয়াবাসহ বহু মাদক মামলার আসামি সোহেল রানার সহচর-রহিম।

আব্দুল খালেক সুমন
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২
  • ২৬৪ জন দেখেছেন

ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত এসব মাদক ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন সোহেল রানা নামের এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমানে যুবলীগের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে চালাচ্ছে ত্রাসের সম্রাজ্য। সোহেল রানা নিজে ধয়া ছোঁয়ার বাইরে থেকে তার বোন জামাই রাসেলকে দিয়ে পুরো সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে। রাসেল আগে থেকেই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধেও একাধিক মামলাও রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের আমতলী কেরানিটেক সহ ৪৬ নং ওয়ার্ডের অন্যান্য এলাকায়ও ইয়াবা এবং ফেনসিডিল ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করে এই রহিম।

সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় রহিমের নামে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে, ও সেই সব মামলায় জেলহাজত খেটেও এসেছে। জেলহাজত খেটেও কমেনি তার মাদক ব্যবসা। খুচরা থেকে এখন সে পাইকারি ব্যবসায়ী বনে গেছেন। এই রহিমের মাদক ব্যবসার সহযোগীতা করে যাচ্ছেন তারই গর্ভধারিণী মা মাদক সম্রাজ্ঞী রোকেয়া বেগম। এই মাদক সম্রাজ্ঞী রোকেয়া বেগম আমতলী কেরানিটেক এলাকায় প্রায় ১৫-২০ বছর যাবত মাদকের ব্যবসা করে আসছে বলে জানা যায়।

আজ বেশ কিছুদিন যাবত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানা ও সোহেল রানার সহচর দের সহ এই রহিমের নামেও বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় মাদক ব্যবসা চাঁদাবাজি ছিনতাই চুরি ডাকাতি কিশোর গ্যাং ইত্যাদি বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়ে আসছে। প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি পুলিশ টঙ্গীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গাঁজা ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও কয়েক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করলেও রহস্যজনক কারণে গ্রেফতার হয়নি এই রহিম।

স্থানীয়রা জানান, নিজেকে আড়ালে রেখে আব্দুল্লাহপুর থেকে শুরু করে গাজীপুরের অধিকাংশই এলাকায় মাদকের বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন এই সোহেল রানা।
তার বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করছে ভয়ংকর কিশোর গ্যাংয়ের অন্তত অর্ধশত সদস্য। আর এই সব কিশোর গ্যাং দিয়েই যেমন মাদক সরবরাহ করে তেমনি চাঁদাবাজি ছিনতাই চুরি ডাকাতি ও হত্যার মতো জঘন্য কাজ সহ নানা অপকর্মে তারা লিপ্ত করেছে।

স্থানীয়ভাবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে এখন আলোচিত এ নামধারী যুবলীগ নেতা সোহেল। ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখও খোলে না। সম্প্রতি স্থানীয় এক সাংবাদিক প্রতিবাদ করায় তাকেও দিয়েছেন হত্যার হুমকি। পরবর্তীতে সেই সাংবাদিক টঙ্গী পূর্ব থানায় জিডি নং-৯৭৫,এ উল্লেখ্য করে জীবনে নিরাপত্তা চেয়ে জিডি পর্যন্ত করেছেন।

মামলা সুত্রে জানা যায় রহিম ও মোবারক ২২ শে অক্টোবর ভোর ৪.০৫ মিনিটের সময় তুরাগ থানাধীন কামারপাড়াস্হ ইসলাম ব্রাদার্স এলপিজি ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন দিদারের খাবার হোটেলের সামনে আধাপাকা রাস্তার উপর ১।মোঃ রহিম মিয়া (৩৮) এনআইডি নং-৭৭৭৪৭৯৫১০৩, পিতা নুর মোহাম্মদ, মাতা রোকেয়া বেগম, স্থায়ী সাং-হিমার দিঘী আমতলী কেরানিটেক, থানা টঙ্গী পূর্ব জিএমপি গাজীপুর। ২।মোঃ মোবারক হোসেন, পিতা মোঃ আজগর আলী, মাতা সাক্তারিনেছা’রিমা, স্থায়ী সাং-পিরোজপুর, থানা আজমেরীগঞ্জ, জেলা হবিগঞ্জ, বর্তমান সাং-তিস্তার গেইট অ্যাডভোকেট কিরণের বাসার ভাড়াটিয়া, থানা টঙ্গী পূর্ব জিএমপি গাজীপুর। নামের দুইজন ব্যক্তি অবৈধ মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করিতেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের দেহ তল্লাশি করে ১৫০ পিচ ইয়াবা টেবলেট পাই। রহিমের নিকট থেকে ১৩০ পিচ এবং মোবারকের নিকট থেকে ২০ পিচ, যাহার মূল্য ৪৫০০০/ (পঁয়তাল্লিশ হাজার) টাকার ইয়াবাসহ
গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। পরে গ্রেফতারকৃতদের থানায় নিয়ে মাদক দ্রব্য আইনে ৩৬(১)এর ১০(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন,২০১৮: তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে জেল হাজতে প্রেরণ করি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com