শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০২ পূর্বাহ্ন

স্বল্প খরচে অধিক লাভের আশায় সরিষা চাষে ঝুকছেন কৃষকরা

তানভির হোসেন রাজু,কুড়িগ্রাম
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৯৭ জন দেখেছেন

তানভির হোসেন রাজু,কুড়িগ্রাম

স্বল্প খরচে অধিক লাভের আশায় সরিষা চাষে ঝুকছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর সরিষা আবাদের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এতে করে কৃষকরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশে তেলের ঘাঠতি মেটানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ। সরেজমিনে দেখা যায় কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলায় মাঠ জুড়ে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে খেতের পর খেত।

আমন উৎপাদনের পর ৩ মাস পরে থাকা পতিত জমিতে বারতি লাভের আসায় ব্যাপক হারে সরিষা চাষ করছে এখানকার কৃষকরা। নদ নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে পলি মিশ্রিত জমি সরিষা চাষের উপযোগী। সেচ সার ও অন্যন্য খরচ কম হওয়ায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রমতে চলতি মৌসুমে জেলায় ১৬ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ অর্জিত হয়েছে। তবে গত বছরের চেয়ে এ বছর ৪ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বেশি হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা চাষে সবমিলিয়ে খরচ হয় ৪-৫ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে সরিষা উৎপাদন হয় ৫-৬ মণ। সরিষা উত্তোলন করে একই জমিতে বোরো আবাদ করবেন চাষীরা। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের বাবলু কৃষক বলেন আমাদের  এখানকার জমিগুলোতে ৩-৪ মাস পর্যন্ত পানি থাকে। আমন আবাদ একদমই হয় না। শুধু বোরো আবাদ ও সরিষার আবাদটাই হয়।

আমি এবার ৩ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। দেখা যাচ্ছে ফলন খুব ভালো হয়েছে। এবিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন,তেল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তেল ফসলের ৫০ ভাগ আমাদের দেশ থেকে উৎপাদন করতে চাই। এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি কুড়িগ্রাম জেলায়। গত বছরের ১২ হাজর ৯শ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। কিন্তু এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬হাজার ৩শ হেক্টর। ইতি মধ্যে ১৬হাজার ৪শ হেক্টর অর্জিত হয়েছে। আমাদের এখানকার কৃষকরা উৎসাহীত হয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com