মোঃ লুৎফর রহমান লিটন, সলঙ্গা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানাধীন ঘুরকা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর করিতলা এলাকায় আলমের ইট ভাটার মধ্যে গড়ে উঠেছে পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরির কারখানা।
দীর্ঘদিন যাবত পুরাতন ব্যাটারি সংগ্রহ করে, ভেতর থেকে প্লেট বের করে আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরি করে আসছে।
সিসা তৈরির চুল্লির বিষাক্ত ধোঁয়ায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
এই সিসা তৈরির কারখানাটির মালিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মোঃ নাজিম উদ্দিন।
জানা যায়,এই সিসা তৈরির কারখানার কারণে এর বিষক্রিয়ায় পরিবেশের উপর প্রভাব পড়ছে ও বিষাক্ত ধোয়ার প্রভাবে শিশুদেরকে জীবনভর শিক্ষা গ্রহণে অসামর্থ্য করে তোলা এবং তাদের স্বাস্থ্য বিকাশে মারাত্নক প্রভাব পড়ছে।
বাতাসে আবাসস্থলের কাছাকাছি এলাকায় সিসা-এসিড ব্যাটারির অবৈধ পুনর্ব্যবহারকে সিসার সংস্পর্শে আসার একটি উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের জন্য উল্লেখযোগ্য মাত্রায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। এমনকি বিষাক্ত ধোয়ায় মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান এরআগে রায়গঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানজিল পারভেজ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই অবৈধ সিসা তৈরির কারখানা মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
এরপরেও তারা প্রতিদিন রাত্রি ০৯.০০ ঘটিকা হইতে ভোর ০৪.০০ ঘটিকা পর্যন্ত পুরাতন ব্যাটারী প্লেট আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরির কাজ করে আসছে।
যখন পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সিসা তৈরির কাজ করে তখন এসিডের ঝাঁজালো গন্ধে আশেপাশের গ্রামের বাড়ির ভেতরে থাকা লোকজনের চোক-মুখ জ্বালা শুরু করে।
নিঃস্বাস নিতে অনেক কষ্ট হয় এই দুষিত ধোঁয়ার কারণে প্রতিনিয়ত অসুস্থ হচ্ছে আশেপাশের গ্রামের শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে স্বাস কষ্টসহ বিভিন্ন রোগে।
এ ব্যপারে গণমাধ্যম কর্মীরা কারখানার মালিক মোঃ নাজিম উদ্দীন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান কারখানার ধোঁয়ার কারণে একটু আকটু ক্ষতি হয়,তাই আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই কাজ চালাই, আপনার নিউজ করলে পরিবেশ অধিদপ্তরের লোক আসবেতো দেখা যাবে।
মুরদদিয়া কিছু সংখ্যা পরিবারের লোকজন বলেন, ব্যাটারি থেকে সিসা তৈরির কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়ায় গবাদি পশু ও মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। সেই সঙ্গে জমির ধান ও বিভিন্ন জাতের ফল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আমরা আলমের ভয়ে মুখ খুলে কিছু বলতে পারছিনা।
সিসা তৈরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।
এলাকার সচেতন মহলের দাবী অতি দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই সিসা তৈরির কারখানাটি গুরিয়ে দিতে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর,রায়গঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান অতি দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই অবৈধ সিসা তৈরির কারখানা গুরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মণ্ডল এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান অতি দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
রায়গঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ তানজিল পারভেজ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এর আগে অভিযান পরিচালনা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল,তারা এখনো কারখানাটি চালাচ্ছে বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা, অতি দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কারখানাটি উচ্ছেদ করা হবে।