কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ৬নং উমরমজিদ ইউনিয়নের ফুলখাঁ (মন্ডল পাড়া) গ্ৰামে বসবাসকারী মোঃ আজাহার আলী ও মোঃ আব্দুল আজিজ দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা ও প্রতিহিংসার জের ধরে পারিবারিক কলহ বিবাদ চলিয়া আসিতেছিল। আজাহার পক্ষের পরিবারের লোকজন সংখ্যায় বেশি থাকায় আজিজের পরিবারের সদস্যদের কে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে অতর্কিত ভাবে গালিগালাজ সহ ভয় ভীতি হুমকি প্রদর্শন করতে থাকেন। নিরুপায় হয়ে আব্দুল আজিজ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের শরনাপন্ন হয়ে বিচারের দাবি জানান।
স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ একাধিক বার আপোষ মিমাংসার অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে আজাহার পক্ষের লোকজন আরো বেশি ক্ষিপ্ত ও হিংস্র হয়ে ওঠেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৩-০১-২০২৩ ইং আনুমানিক সকাল ০৮.৪৫ মিনিটে পরিকল্পিতভাবে আজাহার আলীর নেতৃত্বে তিনি সহ তার পরিবারের বাকী সদস্যরা কামরুজ্জামান, সুমন, কামরুন নাহার, বকুল বেওয়া,মীম আক্তার,হাসু বেগম, মুক্তা বেগম দল বেঁধে ধারালো ছোড়া লাঠি বল্লম সহ আঃ আজিজের আঙ্গিনায় অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন অতিষ্ট হয়ে আজিজের পক্ষ থেকে ফুফু বৃদ্ধা গুলজান বেগম গালিগালাজের প্রতিবাদ করতে গেলে আজাহার ক্ষিপ্ত হয়ে আজিজ কে না পেয়ে অসহায় বৃদ্ধাকে মাথায় ছোড়া দিয়ে সজোরে আঘাত করেন এসময় বাকী সদস্যরা এলোপাথাড়ি মারতে থাকে কেউ তার পরনের কাপড় টানাহেঁচড়া করতে থাকেন তাৎক্ষণিক রক্তাক্ত বৃদ্ধা ফুফুকে বাঁচাতে ভয় উপেক্ষা করে আজিজ চিৎকার করতে থাকে কে আছেন বাঁচান বাঁচান আমার ফুফু কে প্রাণে মেরে ফেললো চিৎকার শুনে গ্ৰামের লোকজন দৌড়ে এসে রক্তাক্ত বৃদ্ধা গুলজান কে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন প্রাথমিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। এমতাবস্থায় বৃদ্ধার ভাতিজা আঃ আজিজ রাজারহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
রোকনুজ্জামান রোকন কর্তৃক সম্পাদিত
© All rights reserved