বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৪ অপরাহ্ন

মান্দায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মানববন্ধন

মো.আককাস আলী, নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৮০ জন দেখেছেন

মো.আককাস আলী, নিজস্ব প্রতিবেদক :

নওগাঁর মান্দা উপজেলার চককেশব নিম্ন মাধ্যমিক আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দাউদ খানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, বিদ্যালয়ের জমি নিজের নামে লিখে নেওয়া ও অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন পালিত হয়।
এছাড়া বিদ্যালয় এমপিওভূক্ত হওয়ার পর যৌক্তিক কারণ ছাড়াই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালিন দুই শিক্ষক ও আয়া পদে কর্মরত এক কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা, অফিস সহকারী পদে একইদিনে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
ঘটনায় প্রধান শিক্ষক দাউদ খানের অপসারণসহ চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্থানীয়রা।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের নামে আট কাঠা জমি লিখে দেওয়ার শর্তে চককেশব গ্রামের আলাউদ্দিন ম-লের ছেলে জামাল উদ্দিনকে অফিস সহায়ক ও তার পুত্রবধূ আসমা খাতুনকে আয়া পদে চাকরি দেওয়ার অঙ্গিকার করেন তিনি। কিন্তু তিনি কৌশলে আলাউদ্দিনের কাছ থেকে ৩ কাঠা জমি বিদ্যালয়ের নামে ও ৫ কাঠা জমি নিজের নামে লিখে নেন। জামাল ও আসমাকে কর্মরত পদ থেকে বাদ দিয়ে তাদের স্থলে টাকার বিনিময়ে অন্য লোক নিয়োগ দিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত সহকারী শিক্ষক রায়হান কবীর বলেন, যে জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত সেখানে তার ১৯ শতক জমি রয়েছে। অথচ প্রধান শিক্ষক ব্যক্তি আক্রোশের বশবর্তী হয়ে আমার নাম শিক্ষক তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।
আয়া আসমা খাতুন বলেন, আমাকে ও আমার স্বামীকে চাকরি দেওয়া কথা বলে শ্বশুরের কাছ থেকে স্কুলের নামে আট কাঠা জমি লিখে নেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক দাউদ খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে কিছু লোক উঠেপড়ে লেগেছে। সাবেক সহকারী শিক্ষক রায়হান ও মোজাফফর দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। বারবার নোটিশ করার পর তারা স্কুলে না আসায় তাদের বাদ দিয়ে ওইসব নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আসমা খাতুন যে অভিযোগ করেছে সেটি সঠিক নয়। তার শ্বশুর বিদ্যালয়ের নামে ৩ কাঠা জমি দান করেছেন আর ৫ কাঠা দান করেছেন। সেই কবলা দলিল আমার কাছে আছে। আসমা ও তার স্বামীকে চাকরি দেওয়ার কোনো অঙ্গিকার করিনি। বিভিন্ন সময় যেসব শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে তার কোনো অনিয়ম দুর্নীতি হয়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেখ শাহ্ আলম বলেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও আমি দুজনে তদন্ত করেছি। খুব শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com