ভোলা বিআরটিএ অফিসে প্রতিদিন গড়ে দেড়শ’ মানুষ বিভিন্ন যানবাহনের লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে আসেন। অফিসে ঢুকার সাথে সাথে দালাল নাজু র খপ্পরে পড়েন গ্রাহকরা। অভিযোগ উঠেছে, গ্রাহকদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা বেশি নিচ্ছেন। এরপর দালাল নাজু কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে কর্মকর্তাদের সিল ব্যবহার করেন।আবেদনকারীদের অভিযোগ, আবেদনপত্র দালাল নাজুর মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা না দিলে আবেদনপত্র জমা দিলে ভোগতে হয় বছের পর বছর। নির্ধারিত সময়ে পাওয়া যায়না গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্স। এমনকি লিখিত পরীক্ষায় পাস করানোর দায়িত্বও নেয় দালাল নাজু।বাপসনিউজের সংবাদদাতা এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা নিজেরা আবেদনপত্র ঠিকমতো পূরণ করতে পারেন না, আমি শুধু তাদের সহযোগিতা করি। এতে খুশি হয়ে তারা আমাকে কিছু দিলে তা নেই। আমি তো কারো কাছে জোর করে কিছু নেই না।’ এ বিষয়ে বিআরটিএ ভোলা অফিসের প্রধান মাহাবুবুর রহমানের কাছে মুঠোফোনে ফোন দিলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়, বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। অতিরিক্ত টাকা,হয়রানি বন্ধ করে অবিলম্বে এই দালাল নাজুকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি ভুক্তভোগীদের।
রোকনুজ্জামান রোকন কর্তৃক সম্পাদিত
© All rights reserved