ব্রণ ও তার প্রতিকার -ঃ
ডাঃ আব্দুল মতিন
সহকারী মেডিকেল অফিসার –
আরগন ফার্মাসিউটিক্যালস( আয়ু).
(এক্স) উপ- সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার-
বারিধারা জেনারেল হসপিটাল লিঃ
ব্রণ হলো ত্বকের সংক্রমণ জনিত একটি সমস্যা। বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিতে ছেলে ও মেয়ে দের ত্বকে ব্রণের সংক্রমণ বেশি দেখা দেয়, এছাড়া বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে ও ব্রণ জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। ব্রণ হওয়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে, এর মধ্যে প্রধান কিছু কারণ গুলো হলো হরমোন ক্ষরণের তারতম্য বা অভাব, জীবাণুর সংক্রমণ, ত্বকের অযত্ন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, তৈলাক্ত ও চর্বি জাতীয় খাবার ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ইত্যাদি কারনে ব্রণ হয়ে থাকে।
ব্রণ বিশেষ করে মুখমণ্ডলে হয়ে থাকে, তাছাড়া ও কপাল, গলা, কাধ,বুক ও পিঠে হতে পারে এছাড়া শরীরের অন্য অংশ গুলোতেও ব্রণ হতে পারে। তবে আমরা ব্রণের লক্ষণ মুখমণ্ডলেই বেশি দেখতে পাই।
ব্রণের প্রতিকার -ঃ
১. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়া।
২. তৈলাক্ত ও অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ না করা।
৩. প্রতিদিন অন্তত ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো।
৪. বেশি – বেশি শাক সবজি ও ভিটামিন যুক্ত ফলমূল খাওয়া।
৫. ধুলোবালি ও অতিরিক্ত রোদ থেকে দূরে থাকা।
৬. মুখমণ্ডল ধুলোবালি ও ময়লা থেকে মুক্ত রাখতে, কিছুক্ষণ পর-পর ধুয়ে নেয়া যেতে পারে, সেক্ষেত্রে ত্বক পরিষ্কার ও ধুয়ে নেওয়ার জন্য প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ফেস ওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুলেও চলবে।
৭. ভিটামিন- সি, ও ভিটামিন -ই জাতীয় খাবার খাওয়া।
৮. কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার ফেস প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে।
৯. রৌদ্রে গেলে ত্বককে সূর্যের প্রখর তাপ থেকে রক্ষা করতে ছাতা ব্যবহার করা যেতে পারে।
১০. ফাস্টফুড জাতীয় খাবার, ও অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার গ্রহণ না করাই ভালো।
১১. ত্বকের সুস্থতার জন্য ত্বককে হাইড্রেড রাখার জন্য পানি ও তরল জাতীয় খাবার এর বিকল্প নেই এই জন্য বেশি বেশি পানি পান করা ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়া যেটা পূর্বেও উল্লেখ করেছি।
১২. ব্রণের লক্ষণ দেখা দিলে বিভিন্ন ধরনের ক্যেমিকেল ক্রিম, ফেস ওয়াশ ব্যাবহার না করাই আপনার ত্বকের জন্য ভালো।
১৩. অতিরিক্ত ক্ষারীয় পদার্থ, সাবান, স্যাম্পু, ও ক্যেমিকেল ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের স্বাভাবিক PH নষ্ট হতে পারে, তার জন্য অতিরিক্ত এসব পণ্য ব্যবহার না করাই উত্তম।
১৪. ত্বকের যত্নে সব সময় প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করাই শ্রেয়।
১৫. তবে ব্রণের সংক্রমণ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ ক্রমে ঔষধ বা ক্রিম অথবা মলম ব্যবহার করা লাগতে পারে।
বয়ঃসন্ধি কালের ব্রণ নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা না করে হেলদি ও নিয়মানুবর্তিতা মূলক জীবন বিধানের মাধ্যমে শুধু ব্রণ কেনো আরও জটিল কিছু রোগ থেকেও মুক্ত থাকা সম্ভব, তাই আসুন আমরা হেলদি, শৃঙ্খলাযুক্ত, নিয়মানুবর্তিতা মূলক ও স্বাস্থ্য সম্মত জীবন গড়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই।