বেল্লাল হোসেন বাবু, নিজস্ব প্রতিবেদক :
বৈশাখী টেলিভিশন ১৭ বছর পেড়িয়ে ১৮ বছরে পা রেখেছে।
২০০৫ সালের এদিন বৈশাখীর যাত্রা শুরু। পথচলার ১৭ বছরে সৃজনশীলতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও পেশাদারিত্বের মিশেলে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল বৈশাখী এখন বিশ্বজুড়ে বাংলা ভাষা-ভাষীদের কাছে জনপ্রিয়। বৈশাখীর বৈচিত্রময় সংবাদ ও অনুষ্ঠান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিপুল সমাদৃত। বিশ্বজুড়ে করোনার পিঠে যুদ্ধ ও আর্থিক মন্দার বাস্তবতায় আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ঐতিহ্যবাহী বর্ণাঢ্য উৎসব হচ্ছে না। শুধু দর্শকদের জন্য বৈশাখীর পর্দায় আজ দিন-রাত চলবে বৈচিত্রপূর্ণ বিশেষ আয়োজন। বৈশাখীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও বৈচিত্র্যময় বিনোদন অনুষ্ঠানের জন্য বৈশাখী টেলিভিশন দেশের সম্প্রচার জগতে দর্শকের বিশেষ ভালবাসা পেয়ে আসছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে নানা দেশে বাংলা ভাষাভাষীরা বৈশাখীর অনুষ্ঠান ও খবরে চোখ রাখেন সাগ্রহে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও জনপ্রিয় হয়েছে বৈশাখীর খবর ও অনুষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বৈশাখী টেলিভিশনের সাফল্য কামনা করে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বাণীতে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বৈশাখী বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও অনুষ্ঠান পরিবেশন করে মানুষের উন্নত মনন গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ জানান। এছাড়াও জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসসহ সকল অপতৎপরতা দমনে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বৈশাখী টেলিভিশন আগামীতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে প্রত্যাশা রাখেন।
বৈশাখী টেলিভিশনকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা পত্র পাঠিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স- অ্যাটকো সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী। তিনি বৈশাখী’র সাফল্য কামনা করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত বৈশাখী টেলিভিশনকে অক্লান্ত পরিশ্রমে দর্শকের কাছে জনপ্রিয় করার নেপথ্যের কারিগর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন। তিনি প্রতিষ্ঠাবর্ষিকীতে সাফল্যের কৃতিত্ব দেন দর্শকদেরকে।
করোনার পিঠে বৈশ্বিক আর্থিক মন্দায় উৎসব করছে না বৈশাখী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন থাকবে শুধু বৈশাখীর পর্দায়। দিন-রাত থাকবে বৈচিত্র্যময় বিনোদন অনুষ্ঠান। সকালে গাইবেন শবনম প্রিয়াংকা ও তিমির নন্দী। দেবলীনা সুর ও ইউসুফ আহমেদ খানের রবীন্দ্র ও নজরুল সঙ্গীত। পৃথক অনুষ্ঠানে আধুনিক গান করবেন রাজিব ও প্রিয়াংকা বিশ্বাস, খুরশীদ আলম ও নদী, আগুন ও ইয়াসমিন লাবন্য। চারটি অনুষ্ঠানে লোক সঙ্গীত গাইবেন রাফাত ও ইসরাত জাহান জুঁই; গামছা পলাশ, মুনিয়া মুন ও কানিজ খন্দকার মিতু; ফকির শাহাবুদ্দিন ও রেখা সুফিয়ানা এবং বিন্দুকণা।
এছাড়াও থাকবে দুটি বিশেষ একক নাটক। রাত ৯টায় মহিন খানের রচনা ও পরিচালনায় হবে ‘বাসর ঘরে চোর’ এবং রাত ১০ টায় মমিনুল ইসলাম তানিনের রচনা ও পরিচালনায় বিশেষ নাটক মোহ মায়া।
বাংলা, বাঙালি সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মিশেলে পথচলা বৈশাখী টেলিভিশন দর্শককে আগামীতে আরও ভাল পরিবেশনা দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।