বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন

বিজয় দিবসে নানা আয়োজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের

ফয়সাল আহমেদ, জবি প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৭০ জন দেখেছেন

ফয়সাল আহমেদ, জবি প্রতিনিধি

 

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন সহ দিনভর নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৫২ তম বিজয় উৎসব পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।

 

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে স্মৃতিসৌধের বেদীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান (ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য) কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.কামালউদ্দীন আহমদ।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শিক্ষক সমিতি, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, জবি তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ অন্যান্য সংগঠন।

 

এরপর “বিজয় গর্বে দীপ্ত দেশ, উন্নয়নের বাংলাদেশ” স্লোগানে বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রথমেই সংগীত বিভাগের পর্যায়ক্রমে ১৫টি দেশত্ত্ববোধক গানের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। গানগুলোর শেষে একটি নৃত্য পরিদর্শনের মাধ্যমে সঙ্গীত বিভাগের পর্বটি সমাপ্ত হয় । সংগীত বিভাগের অনুষ্ঠানের শেষে আবৃত্তি সংসদ, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, উদীচিসহ অন্যান্য সংগঠনগুলোর পরিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের সমাপনীর বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য) কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড কামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি আশা করব, এই প্রজন্মের সবাই যেন ইতিহাস জানার ক্ষেত্রে সচেতন হয়। কারণ বিভিন্নভাবে একাত্তরের পরাজিত শক্তি। রাজাকার, আলবদর, আলসামস, তারা এই তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। দেখেছি ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা পর জেনারেল জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি কায়দায় দেশকে শাসন করার চেষ্টা করেছে। স্বাধীনতা বিরোধী যে অপশক্তি, বঙ্গবন্ধু হত্যায় সাজা প্রাপ্ত আসামীদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের রাজনীতি করার জন্য। যেটা আমাদের সকলের জন্য অপমানজনক ছিল। আমরা সেই সময় যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি, আমাদের জন্য তা ছিলো লজ্জার এবং দুঃখজনক।

একসময় একজন শাসক বলেছিলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। কিন্তু এটা শুধু স্লোগানেই সীমাবদ্ধ ছিল। কখনো বাস্তবায়ন হয়নি। শুধু মুখেই ছিল। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের হারানো গৌরব ফিরে পেয়েছে। যথাযোগ্য মর্যাদা তারা বসবাস করছে। এটি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সম্মানের।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com