শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩১ অপরাহ্ন

বরেন্দ্র অঞ্চলে এবার বোরো ধানের উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে

মোহাম্মদ আককাস আলী,নিজস্ব প্রতিবেদক প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩
  • ৬৮ জন দেখেছেন

 

বরেন্দ্র অঞ্চলে এবার বোরো ধানের উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে। কিন্তু সে তুলনায় উৎপাদিত ধানের দাম বাড়েনি। চাষিরা বলছেন, ডিজেল, সার, বীজ, কীটনাশক, শ্রমিকের মজুরিসহ বিঘাপ্রতি চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। ফলে ধানের দাম মণপ্রতি দেড় হাজার থেকে এক হাজার ছয়শ’ টাকা না হলে চরম বেকায়দায় পড়বেন তারা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বর্গাচাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মওসুমে জেলার সদর, মহাদেবপুর, পত্নীতলা, ধামইরহাট, সাপাহার, নিয়ামতপুর, মান্দা, বদলগাছী, রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলায় এবার মোট এক লাখ ৮৯ হাজার একশ’ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এসব উপজেলায় এবার চিকন ধান জিরাশাইল, কাটারিভোগ, সম্পা কাটারি, ব্রি-২৮, ২৯, ৮১, ৮৬, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯২ ও বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লীর মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ যেন সবুজ চাদরে ঢাকা। বোরো ক্ষেতে সবুজের সমারোহ নজর কাড়ব সবার। বোরো ক্ষেত পরিচর্যায় তারা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ অঞ্চলের চাষীরা বলছেন, ‘জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। বেড়েছে কীটনাশকের দাম। জমি চাষ, লাগানো, নিড়ানিসহ বিভিন্ন খরচ গত বছরের চেয়ে এবার বিঘাপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বেড়েছে। প্রতি মণ ধান ১৫০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকায় বিক্রি না হলে লোকসান গুণতে হবে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা একেএম মঞ্জুরে মাওলা জানান, ইতিমধ্যেই জেলায় ৯৯ শতাংশ জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। যেসব জমিতে সরিষা ও আলু রয়েছে সেগুলো তোলার পরই ধান রোপণ করা হবে। আশা করা হচ্ছে এবার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। তিনি বলেন, ‘এবছর বিদ্যুৎ খরচ ও সেচ খরচ বেড়েছে। যেকোনো বিষয়ে উৎপাদন খরচ বাড়লে সেটি শেষ পর্যন্ত কৃষক পর্যায়ে বেড়ে যায়। সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করার সময় বর্তমান বাজার দরের সমন্বয় করবেন। তবে বাজারে ধানের দামও ভালো আছে। কৃষক ধান বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে আশা এই কৃষি কর্মকর্তার।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com