জুয়েল-নন্দীগ্রাম (বগুড়া) 

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনের পদত্যাগের পর আসনটি শূন্য হওয়ায় উপ-নির্বাচনের হাওয়া বইছে। নির্বাচন উপলক্ষে এবার সর্বমোট ১০ জন আওয়ামীলীগের (নৌকা) মনোনয়ন প্রাত্যাশী মাঠে রয়েছেন। তারা হলেন, বগুড়া জেলা জাসদের সভাপতি, ১৪ দলের নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেন, নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা এলএলবি, কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ আহসানুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদুল করিম কল্লোল, নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইউনুস আলী, কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন কবিরাজ, নন্দীগ্রাম উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুজা চৌধুরী।

তবে মনোনয়ন যোগ্যতায় আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা (এলএলবি)। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের বক্তব্যে এমনটিই জানান দিচ্ছে।

নেতাকর্মীরা বলছে, বিএনপি-জামাতের দূর্গ নামে পরিচিত বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলাকে বলিষ্ঠ নেত্বত্বের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের দূর্গ হিসেবে গড়ে তুলেছেন নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা (এলএলবি)। যেদিন থেকে সে নেতৃত্বে এসেছে সেদিন থেকে নন্দীগ্রামে আওয়ামীলীগের সুদিন ফিরে এসেছে। তার নেতৃত্বে নন্দীগ্রাম বাসীসহ দেশবাসী নন্দীগ্রামে নৌকার বিজয় দেখতে পেয়েছে। গত সংসদ নির্বাচনে নন্দীগ্রামে নৌকার সর্বোচ্চ ভোট, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিজয়, যা বিগত কোন নেতৃত্ব নৌকার বিজয় দেখা যায়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নিজ অর্থ, কঠোর পরিশ্রম ও সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলায় আওয়ালীগের শক্ত অবস্থান তৈরির করেছেন আনোয়ার হোসেন রানা (এলএলবি)। সুতরাং নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা (এলএলবি) যদি বগুড়া-৪ আসনে নৌকার মাঝি হতে পারে তাহলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত বলে ধারনা করছেন উপজেলা ও তৃনমূন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।

তবে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে, সকল মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বর্তমান দলীয় কর্মকান্ড, যেমন আওয়ামীলীগের সকল কার্য্যক্রমে কে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। জনপ্রিয়তায় কে এগিয়ে। সমাজসেবা ও মানবসেবায় কার অবদান বেশি। বর্তমানে উপজেলার তৃনমূল পর্যায়ে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে কে সর্বোচ্চ ভুমিকা পালন করছে। দলীয় নির্দেশনায় দেশের যেকোন দূর্যোগ মোকাবেলায় নিজ অর্থ ও শ্রম দিয়ে দেশ ও জনগনের পাশে থেকে কে বিশেষ অবদান রেখেছে। এমন সবদিক বিচার বিশ্লেষনা করে দলীয় সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য ব্যক্তিকে নৌকার মনোনয়ন দিবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দসহ তৃনমূলের নেতাকর্মী।

উক্ত বিষয়ে, নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা (এলএলবি) বলেন, নন্দীগ্রামে বিএনপি-জামাতের দূর্গ ভেঙে আওয়ামীলীগের দূর্গ গড়ে তুলেছি। উপজেলা আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করেছি। তৃনমূল পর্যায়ে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করেছি। উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব পাওয়ার পর প্রতিটি নির্বাচনে নৌকার বিজয় এনে দিয়েছি। এবার উপ-নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন ও জননেত্রী শেখ হাসিনার আশির্বাদ পেলে নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে জয় নিয়ে ঘরে ফিরবো ইনশা-আল্লাহ।