মোঃ এনামুল হক, আইন বিশ্লেষক ও গবেষক
দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি জন্য ১ম স্ত্রীর অক্ষমতাসমুহ উল্লেখ পূর্বক স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র/সিটি কর্পোরেশনের সালিশি পরিষদের নিকট অনুমতির আবেদন করতে হবে। সালিশি পরিষদ স্বামী ও স্ত্রীর উভয়ের বক্তব্য শ্রবন করার পর পরিষদ যদি মনে করেন ২য় বিয়ের অনুমতি প্রদান প্রয়োজন তবে অনুমতি দিবেন।
ধরেন, সালিশি পরিষদ যদি ২য় বিয়ের অনুমতি দিল না তাহলে আপনি সহকারী জজের কাছে রিভিশন করতে পরবেন ।
ধরেন, সহকারী জজও অনুমতি দিলো না তাহলে প্রতিকার কি?
সহকারি জজের কাছে রিভিশন করলে সহকারি জজ যা বলবে তা ফাইনাল। এখানে স্ট্যটুটরি লয়ের খেলা শেষ। এর পরে আসে সংবিধান। সংবিধান সর্বোচ্চ আইন। সহকারি জজ যদি অনুমতি না দেন তাহলে বিয়ে করতে না দেওয়াকে আপনি রাইট টু লাইফের লঙ্ঘন দেখিয়ে হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট করতে পারবেন । এখানে আপনাকে কোর্টকে বুঝাতে হবে যে বিয়েটা করা আপনার জন্য ভীষন জরুরী। আপনি বিয়েটা করতে না পারলে আপনার জীবন ধারনের অধিকার ভায়োলেট হচ্ছে। এই গ্রাউন্ডে আপনি রিট করতে পারবেন ইজিলি। এবং এটা যদি বেয়ন্ড রিজনেবল ডাউটে প্রমান করতে পারেন তখন হাইকোর্টে রেমেডি পাবেন। ধরেন, এমন একটা সিচুয়েশন যেখানে বিয়েটা না করলে আপনি বাঁচতে পারছেন না। কিন্তু বিয়ের অনুমতি সালিশি পরিষদেও পেলেন না আবার সহকারি জাজও দিলেন না। তখন এটাকে ৩২ অনুচ্ছেদে জীবন ধারনের অধিকারের ভায়োলেশন হিসেবে দেখিয়ে ১০২(১) অনুচ্ছেদে রিট ফর জুডিশিয়াল রিভিউ বা রিট ফর জুডিশিয়াল এনফোর্সমেন্ট করা যাবে।
লেখকঃ আইন বিশ্লেষক ও গবেষক ।
মোবাঃ +৮৮০১৭১২৩৭৬৪৬৮
রোকনুজ্জামান রোকন কর্তৃক সম্পাদিত
© All rights reserved