হাফছা খাতুন স্টাফ রিপোর্টারঃ
কনজাঙ্কটিভাইটিস হচ্ছে চোখের ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। সাধারণভাবে প্রচলিত কথা’চোখ ওঠা’চোখ লাল হয়ে যাওয়া।
নন্দীগ্রামে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি, ফার্মেসিতে মিলছে না ড্রপ।
বগুড়ার নন্দীগ্রামে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা। এ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ফার্মেসি গুলোতে সহজে মিলছেনা আই ড্রপ। প্রতিবছর ভাইরাস-জনিত এ রোগে কিছু লোক আক্রান্ত হলেও এবার শরতে বেড়ে গেছে এ রোগের প্রকোপ।
উপজেলার সব বয়সের মানুষের মধ্যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে ওষুধের দোকানগুলোতে আই ড্রপের সংকট দেখা দিয়েছে।
পৌরসভার কলেজ পাড়ার কুবির চন্দ্র বলেন, মঙ্গলবার সকালে আমার ১০ মাসের কন্যা শিশুর চোখ লাল হয়েছে লক্ষ্য করলাম,পরের দিন আমার পরিবারের ৪জন সদস্য সবাই চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হই। শুধু আমার পরিবারে না, অনেকেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন।
৫টি ওষুধের দোকান ঘুরে আমি একটা ড্রপ পেয়েছি।
নন্দীগ্রাম পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ডের পিএম ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী সবুজ কুমার জানান, সারাবছর চোখের ড্রপের চাহিদা খুব বেশি থাকেনা। এজন্য অল্প পরিমাণে এ ওষুধ দোকানে রাখা হয়। হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে এ সংকট দেখা দিয়েছে। আবার ওষুধ কোম্পানিগুলো চাহিদা অনুযায়ী পন্য সরবরাহ দিতে পারছেনা।
নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল বলেন, এই রোগের নাম কনজাংটিভাইটিস। রোগটি মূলত ছোঁয়াচে,এ রোগ ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এ রোগে আক্রান্ত হলে বাড়িতে থাকাই ভালো। এটি একটি ছোয়াচে রোগ তাই এই রোগ যেন সবার মাঝে ছড়িয়ে না পরে তাই ঘরে থাকার আহবান জানিয়েছেন এই চিকিৎসক।,তবে বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে গেলে চোখে কালো চশমা ব্যবহার করতে হবে।