মোস্তফা প্রামানিক, স্টাফ রিপোর্টারঃ

নওগাঁর মহাদেবপুরে ৫ম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করার দুই মাস পর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী মমেনুল হক ওরফে মমো (৫০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

থানা সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে দুই মাস পূর্বে গত ১১ আগষ্ট জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারি জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মমেনুল হক ওরফে মমোকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে মমেনুল হক পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস আই শাহজাহান হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ র‌্যাবের সহযোগিতায় ফরিদপুর শহরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারি ও জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের পুত্র মমেনুল হক বিভিন্ন সময়ে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন। গত ২ আগষ্ট সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই ছাত্রীকে মাদ্রাসার বারান্দায় একা দাঁড়ানো অবস্থায় পেয়ে বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন এবং কু-প্রস্তাব দেন। এতে ওই ছাত্রী রাগ করে মাদ্রাসাতেই বই খাতা ফেলে রেখে বাড়িতে চলে আসে।
ওইদিনই ছাত্রীর খোঁজ খবর নেয়ার অজুহাতে দুপুরে উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের জয়পুর পীরপুকুর গ্রামে ছাত্রীটির বাড়িতে এসে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তার শয়ন ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় মমেনুল হক ওই ছাত্রীকে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখান।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর গত ১৮ আগষ্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবীতে জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া (কলাবাগান) মোড়ে স্থানীয় যুব সমাজের আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তারা ধর্ষক মমেনুল হককে গ্রেপ্তার ও ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবী করেন।

এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, আসামীকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।