শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন

তানোরে বেশী দামে সার বিক্রি

মমিনুল ইসলাম মুন বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২
  • ৮২ জন দেখেছেন

মমিনুল ইসলাম মুন বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি :

রাজশাহীর তানোরে প্রশাসনের মদদে চোরাপথে নিম্নমাণের সার এনে অবৈধভাবে মজুদ ও দ্বিগুন দামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, তানোর পৌরসভার তালন্দ বাজারের মেসার্স লাবনী ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী গণেশ, মেসার্স চৌধুরী ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মনিরুল ইসলাম ও কীটনাশক ব্যবসায়ী টিপু
মান্দা উপজেলার সাবাইহাট, দেলুয়াবাড়ী ও চৌবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাপথে রশিদ বিহীন সার কিনে অবৈধভাবে মজুদ ও কৃষকের কাছে দ্বিগুন দামে বিক্রি করছেন। চোরাপথে আশা রশিদ বিহীন চোরাই সারে বাজার সয়লাব। এদিকে এসব সার আসল নকল না নিম্নমাণের সেটা বোঝার ক্ষমতা নাই সিংহভাগ কৃষকের। আবার রশিদ বিহীন এসব সার কিনে কৃষকেরা প্রতারিত হলে ব্যবসায়ীরা অস্বীকার করে, ক্রয় রশিদ না থাকায় কোনো প্রতিকার পায় না। স্থানীয় কৃষক এন্তাজ, মেহেদি, জলিল ও সালাম জানান, তালন্দ বাজারের চৌধুরী ট্রেডার্সের পিছনের ঘরে, লাবনী ট্রেডার্সের পশ্চিম দিকের ঘরে ও টিপুর দোকানসংলগ্ন বাড়িতে বিপুল পরিমান এমওপি (পটাশ) সারের বিশাল মজুদ রয়েছে। তারা খোলাবাজারে প্রতিবস্তা সার
সাড়ে ১৩শ” থেকে সাড়ে ১৪শ’ টাকায় বিক্রি করছে,তবে কোনো রশিদ দিচ্ছেন না। এসব গুদামে অভিযান দিলেই অভিযোগের সত্যতা মিলবে। কিন্ত্ত প্রশাসনকে বার বার তাগিদ দেয়া হলেও তারা রহস্যজনক কারণে নিরব রয়েছে।
এদিকে বিষয়টি স্থানীয় কৃষি বিভাগকে জানানো হলে তারাও রহস্যজনক ভুমিকা পালন করছে। ফলে কোনো প্রতিকার না পেয়ে কৃষকেরা বাধ্য হয়ে দ্বিগুন দামে সর কিনছেন। তবে দ্বিগুন সার কিনলেও তাদের কোনো ক্রয় রশিদ দেয়া হচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক জানান, অ্যামোনিয়া ফসফেট (ডিএপি) ১৩০০ টাকা, ইউরিয়া ১২৫০ টাকা ও ট্রিপল সুপার ফসফেট বা টিএসপি সার বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা বস্তা দরে বিক্রি হচ্ছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স লাবনী ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী গণেশ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি সাবাইহাট থেকে মেমো ছাড়াই বেশী দামে সার কিনে আনছেন, কমদামে তো বিক্রি করতে পারেন না, আর এসব নিম্নমাণের নয় ভাল মাণের সার। তিনি বলেন, শুধু তিনি না সবাই বাড়তি দামে সার বিক্রি করছেন। এবিষয়ে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, তিনি প্রশিক্ষণের জন্য রাজশাহী রয়েছেন, তিনি বলেন, বেশী দামে সার বিক্রির কোনো সুযোগ নাই তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, গণেশকে কঠোরভাবে বলা হয়েছে সার মজুদ না করে কৃষকের কাছে বিক্রি করতে হবে। যদি না করে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বাক্কারকে মান্দা উপজেলা থেকে সার পাচারের বিষয়ে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, তিনি কৃষি অফিসারকে বিষয়টি দেখতে বলেছেন, তারপরও যদি পাচার হয় ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
শুধু সাবাই হাটে চারজন বিসিআইসির ডিলার কিভাবে ব্যবসা করছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, এসব বিষয়ে অবগত ছিলাম না, নিয়ম অনুযায়ী সব চলবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com