বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন

জবি ফার্মেসি বিভাগের ১৫ বছর পূর্তি উদযাপন

ফয়সাল আহমেদ, জবি প্রতিনিধি।
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ১০৮ জন দেখেছেন

ফয়সাল আহমেদ, জবি প্রতিনিধি।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সুচনা হয় এরপর কেককাটা, আলোচনা সভা ও বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড ইমদাদুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আাহমদ, লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: মনিরুজ্জামান খন্দকার, এসকায়েফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মতিয়ার রহমান, বীকন গ্রুপের পরিচালক মনজুরুল আলম এবং ইউএসএ থেকে আগত প্যারাগন ফার্মাসিউটিক্যালের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ শামীম উপস্থিত ছিলেন। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিতেশ চন্দ্র বাছার। অনুষ্ঠানের আহবায়ক হিসেবে ছিলেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ মনির হোসেন। এসময় বিভাগীয় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দের বক্তব্য উঠে আসে দেশের মানুষের জন্য ফার্মেসি ও ফার্মাসিস্টদের গুরুত্ব ও প্রয়োজন কথা। দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনে ঔষধের গুরুত্ব অপরিসীম। তাছাড়া বর্তমানে বিশ্বের ১৬০ টি দেশে বাংলাদেশের প্রস্তুত ঐষধ রপ্তানি হয়ে থাকে। যা আমাদের দেশের অর্থনীতির চাকাকে দিন দিন আরো সচল করে তুলছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ডিরেক্টর মনজুরুল আলম জানান, “নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা সারা দেশের অনেক শিক্ষার্থীদের আবেদন পেয়ে থাকি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবেদনও আমরা পাই। তবে আজ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কোনো শিক্ষার্থীর নিয়োগ পাওয়ার আবেদন আমরা বাতিল করবো না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারাই এখানে আবেদন করবে, তাদেরই এখানে কাজের সুযোগ করে দেওয়া হবে।”

অন্যদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমেদ বলেন, “একাডেমিক শিক্ষা ও ইন্ডাস্ট্রির সমন্বয় হোক যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাছাড়া ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে দেশের সাধারণ মানুষের দিকে নজর রেখে ঔষধের দাম নির্ধারণ করতে হবে, যেনো সবাই অন্তত নিজেদের প্রয়োজনীয় ঐষধগুলো কিনতে পারে। ঔষধের ধারণাটা যেন এমন হয় ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ঔষধ’। বঙ্গবন্ধু ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর গঠন করেন। তার পথ ধরে প্রধানমন্ত্রী এর প্রসার ঘটান। এজন্য ভরতের ওষুধের চেয়ে আমাদের দেশের ওষুধ এখন অনেক মানসম্মত।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. ইমদাদুল হক বলেন, “২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর সফলভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়টি সামনের দিকে এগিয়ে চলছে। তাছাড়া, আমরা কারো সাথে কম্পেয়ার করতে চাই না, আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নামেই পরিচিত হতে চাই। আমাদের এখানে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকার পরও শিক্ষার্থীরা সবক্ষেত্রে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই, এখান থেকেই শিক্ষার্থী নিজেদের যথাযোগ্য করে গড়ে তুলে সোনার বাংলাদেশ গড়তে সচেষ্ট হবে। ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা এবিষয়ে যর্থাথ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের শিক্ষার্থী ও কলিগদের গবেষনার জন্য ফার্মাসিটিকালসের সাথে জয়েন্ট ভেঞ্চারে কাজ করতে চাই। ফার্মাসিতে যারা পড়ে ইন্টার্নসীপ তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, উপস্থিত অতিথিদের প্রতিষ্ঠানে যাতে আমার শিক্ষার্থীরা ইনটার্ন করতে পারে। কীভাবে আমাদের কারিকুলাম আরও উন্নত যুগোপযোগী, ডিমান্ডেবল করা যায় সে বিষয়ে ফার্মাসিস্টরা হেল্প করবেন। যাতে শিক্ষার্থীরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারে। ইন্ডাস্ট্রিতে রিলেশন বিল্ডআপ করতে চাই।

উপলক্ষ্য, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলিতে যোগ্যতাসম্পন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল বিজ্ঞানীদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার আলোকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ সালে ফার্মেসি বিভাগ চালু করে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com