মুহা. ফখরুদ্দীন ইমন, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নাহিদ চৌধুরী নামে এক নারী ইউপি সদস্যের ছেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে। আহত নাহিদ চৌধুরী একই এলাকার নারী ইউপি সদস্য নাসিমা আক্তার সীমার ছেলে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নাসিমা আক্তার সীমা বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকালে উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের নারী ইউপি সদস্য নাসিমা আক্তার সীমা তার পৈতৃক জমিতে একটি এতিমখানা নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করতে গেলে স্থানীয় নঈমুল হক মজুমদার রাফিদ, স্বপন, তপন ও জনার্ধনের নেতৃত্বে নাসিমা আক্তারকে উদ্দেশ্য করে গালমন্দ করতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে তার ছেলে নাহিদ চৌধুরী প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত বিবাদীরা তাকে এলোপাতাড়ি লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে চিৎকার শুনে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় নাহিদকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেয়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য নাাসিমা আক্তার সীমা বলেন, 'আমার পৈতৃক জমিতে এলাকার গরীব ছাত্র/ছাত্রীদের লেখাপড়ার জন্য একটি এতিমখানা মাদ্রাসা নির্মাণ কাজ শুরু করি। বিবাদীগণ এসে আমার নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করেন। বাধা প্রদানের কারণ জানতে চাইলে ক্ষীপ্ত হয়ে তারা আমাকে ও আমার ছেলে নাহিদকে লাঠিপেটা করে আহত করে। পরে এলাকাবাসী শোর চিৎকার শুনে আমাকে ও আমার ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত নঈমুল হক রাফিদ বলেন, আমি শুনেছি এতিমখানা নির্মাণের জায়গাটি একটি হিন্দু সম্প্রদায়ের। স্বপন পালের কথায় ঐখানে গিয়ে বিরোধকৃত জায়গাটির সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করি। সেখানে মারামারির কোন ঘটনা ঘটেনি। থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখিত ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।'
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, 'অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
রোকনুজ্জামান রোকন কর্তৃক সম্পাদিত
© All rights reserved