বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১১ পূর্বাহ্ন

কাজিপুরে সেচ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করতে ইউএনওকে চিঠি

কাজিপুর প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৬১ জন দেখেছেন

কাজিপুর প্রতিনিধি :

বেরো আবাদের ভরা মৌসুমে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার অগভীর নলকূপের মালিক এক কৃষককে তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে নোর্টিশ প্রদান করেছে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২। এরই প্রেক্ষিতে ওই অগভীর নলকূপ থেকে সেচ সুবিধাভোগী শতাধিক কৃষক উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ওই সংযোগ বহাল রাখার দাবীতে সংবলিত গণস্বাক্ষরযুক্ত একটি দরখাস্ত দিয়েছে।

রবিবার(১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে ও দরখাস্তসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের বাসিন্দা কৃষক আল আমিন ২০১১ সালে বিধি মেনে একটি অগভীর নলকূপ স্থাপন করে। স্থাপনকৃত এলাকার ৮৫৪ ফিট দূরত্বে পূর্ব থেকে বিএডিসির একটি গভীর নলকূপ দীর্ঘদিন যাবৎ অব্যবহৃত অবস্থায় ছিলো। সব দেখেশুনেই কর্তৃপক্ষ অনাবাদী জমিগুলিকে সেচের আওতায় আনতে আল আমিনকে ওই অগভীর নলকূপের সংযোগটি প্রদান করে। তখন থেকে চল্লিশ বিঘা জমিতে সেচ দিয়ে আসছিলেন কৃষক আল আমিন। গত বছর গোলাম হোসেন নামের এক ব্যক্তি আবেদন করলে ওই গভীর নলকূপটি তাকে প্রদান করা হয়। সংযোগ পেয়েই গোলাম হোসেন আল আমিনের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করতে বিএডিসি ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করেন।

এরই প্রেক্ষিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা জানিয়ে আল আমিনকে একটি পত্র প্রদান করা হয়। কাজিপুর উপজেলা সেচ কমিটির গত ২২ ডিসেম্বরের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে ওই সেচ সংযোগটি আর বহাল রাখা যাচ্ছেনা বলে উল্লেখ করা হয়। এদিকে এই খবর আল আমিনের অগভীর নলকূপের সেচ গ্রহিতা শতাধিক কৃষক জানতে পেরে তারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। আল আমিনের অগভীর নলকূপের সংযোগটি যাতে বহাল থাকে এ কারণে ইউএনও বরাবর তাদের স্বাক্ষরযুক্ত পত্র প্রেরণ করেন।

আল আমিন জানান, আমি গরিব কৃষক। ১৩ বছর যাবৎ আমি জমিতে সেচ দিচ্ছি। কৃষক আমার ব্যবহারে খৃশি। তাদের কোন অভিযোগ নেই। হঠাৎ করে আমার সংযোগটি কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিছে জানলাম। এটি অমানবিক।

সেচ গ্রহিতা কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, আগে থেকে আল আমিন সেচ দিচ্ছে। আমাগোরে কোন সমস্যা নাই। আমরা ধান লাগাইছি, সার দিছি। এহন এই সেচ বন্ধ কইরলে আমাগোরে সমস্যা হইবো।

সেচ গ্রহিতা জয়নাল আবেদীন জানান, আমাগোরে যেহানে ভালো সেচ পামু সেহান থাইকা সেচ নিমু। এতে কার কি? আমরা আল আমিনের সেচই চাই।

কৃষক আব্দুস সাত্তার জানান, গভীর নলকূপের মালিক সেচের আগে টাকা চায়। টাকা না দিলে জমিতে পানি দিতে চায়না। আর আল আমিন মৌসুম শেষেও আমাদের টাকা নেয়। কারণে আমরা অগভীর সেচের পানিই চাই।

কাজিপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম সানোয়ার হোসেন জানান, সেচ কমিটির চিঠি পেয়ে আমরা ওই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সেচ গ্রহিতা আল আমিনকে পত্র দিয়েছি।

কাজিপুর বিএনডিসির সহকারী প্রকৌশলী(ক্ষুদ্রসেচ) তারেক আহমেদ জানান, নিয়মানুযায়ী অগভীর নলকূপটি সরাতেই হবে। জনগণ গভীর নলকূপ থেকে সেচ সুবিধা পাবে।

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখময় সরকার জানান, গভীর নলকূপটি অনেকদিন বন্ধ ছিলো। এখন চালু হয়েছে। তাই নিয়মানুযায়ী অগভীর সেচটি বন্ধ করতে হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির অরো খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com