নতুন পেঁয়াজের আমদানি ও বাজার মনিটরিং শুরু হওয়ায় রান্নায় অন্যতম প্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম কমতে শুরু করেছে ফরিদপুরে।
বাজারে আসা নতুন পেঁয়াজের দর গত দুদিনের ব্যবধানে কেজিতে কমেছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা আর পুরোনোটির দাম ২০-৩০ টাকা করে কমছে।
বৃষ্টির কারণে ক্ষেত থেকে আগাম জাতের পেঁয়াজ তুলতে দেরির পাশাপাশি ভারতের রপ্তানি বন্ধের খবরে দেশজুড়ে নিত্যপণ্যটির বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়।
বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তার অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার পাশাপাশি ক্ষেত থেকে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আমদানি বাড়ায় ফরিদপুরে কমতে শুরু করেছে এ পণ্যটি দাম।
সোমবার ও মঙ্গলবার শহর ও আশপাশের বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, মুড়িকাটা পেঁয়াজ খুচরায় কেজি প্রতি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে।
দুই/তিন দিন আগেও এসব বাজারে মুড়িকাটা (নতুন) পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪৫-১৫০ এবং দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ২০০ টাকা পর্যন্ত কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছিল।
সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা জানান ঘূর্ণিঝড় ‘মিগযাউমের’ প্রভাবে তিন-চার দিনে ধারাবাহিক বৃষ্টিতে এ জেলার পেঁয়াজের ক্ষেতগুলোতে পানি জমে যায়। এতে চাষিরা ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ তুলতে পারেননি। অন্যদিকে, ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বন্ধের খবরে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্য এ পেঁয়াজের দর বাড়িয়ে দেন।
হঠাৎ বাজারে পেঁয়াজের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের পক্ষে ভোক্তার অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে, জেলার পেঁয়াজ চাষিরা জানিয়েছেন, অতিবৃষ্টির কারণে পানি জমে যাওয়ায় ক্ষেতে নামতে পারছিলেন না তারা। আবহাওয়া ভালো হলে কয়েক দিনের মধ্যে আবার নতুন পেঁয়াজ বাজারে তোলা সম্ভাব হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, জেলায় মূলত তিন প্রকারের পেঁয়াজের আবাদ হয়। এর মধ্যে শীতকালীন মুড়িকাটা পেঁয়াজ, গ্রীষ্মকালীন হালি ও দানা পেঁয়াজ। এর মধ্যে হালি পেঁয়াজ বেশি আবাদ হয়।
তিনি বলেন, জেলায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছিল শীতকালীন এ পেঁয়াজটি। যার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল লক্ষাধিক মেট্রিকটন।